প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২০, ২১:২৭
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদীবন্দর- সরাইল- ধরখার- আখাউড়া স্থলবন্দর চার লেনে উন্নতিকরণে ভূমি নিয়ে যৌথ তদন্তের পরেও প্রকৃত অবস্থা নিরুপণ না করায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি মালিকরা।শহরের ভাদুঘর মৌজার ২৯টি ভিটি মালিক সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।এসময় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর পক্ষে লিখিত বক্তব্য বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদীবন্দর- সরাইল- ধরখার- আখাউড়া স্থলবন্দর চার লেনে উন্নতিকরণে ভূমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকার।
সেই মোতাবেক এলএ শাখা কেইস নং-১২/২০১৮ইং মূলে জেলা প্রশাসন ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর মৌজায় ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ নিরূপণে এলএ শাখা যৌথ তদন্ত করে ও ভিডিও ধারণ করেন। যৌথ তদন্তে ক্ষতিগ্রস্থ ভূমিগুলোর বাস্তব অবস্থা ফিল্ডবুকে ভিটি হিসেবে লিখা হয় এবং তাতে গৃহ-স্থাপনা লিপিবদ্ধ করে ভূমি মালিকগণের স্বাক্ষর নেওয়া হয়৷
কিন্তু গণবিজ্ঞপ্তিতে ২৯টি ভিটি ভূমিকে নাল ভূমি হিসেবে উল্লেখ করা হয় ও ফলে এতে কোন প্রকার স্থাপনার ক্ষতিপূরণ নিরূপণ করা হয়নি। ফলে ২৯টি ভূমির শতাধিক পরিবার ন্যায্য ক্ষতিপূরণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এনিয়ে চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের বরাবর দরখাস্ত করা হলেও, উনার বিষয়টি আমলে নেননি। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি মালিকরা ছাড়াও বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।