প্রকাশ: ৮ জুন ২০২০, ৩:২৮
করোনাসহ বিভিন্ন রোগ মুক্তি পেতে মাদারীপুরের কারকিনি উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের খাতিয়াল আমড়াতলা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী সেনাপতি দিঘির পানি নেয়ার হিড়িক পড়েছে।
গত দুই দিন যাবত দিনভর এ দিঘির পানি রোগ মুক্তির আসায় সংগ্রহ কওে রাখেন স্থানীয় উৎসুক জনতা। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের কালকিনিি উপজেলার ঐতিহ্যবাহি নির্দশনের মধ্যে সেনাপতি দিঘি অন্যতম।
১৬৬৫ সালের ২৪ ডিসেম্বও মোগল আমলে শায়েস্তা খার বড় ছেলে বুজুর্গ উমেদ খার বিশ্বস্ত সেনাপতি ইসলাম খা এ দিঘিটি খনন করেন। প্রায় সাড়ে ৩’শত বছর ধরে নিজ মহিমায় কালের স্বাক্ষী হয়ে আজও টিকে আছে। আজ এটি নিস্প্রান। দৃষ্টি নন্দন দিঘিটির নেই সংরক্ষনের কোন উদ্যোগ। দিনে দিনে ক্ষয়ে যাচ্ছে এর সৌন্দর্য।
এক সময় হয়তো বিলিন হয়ে যাবে কালের অতলে,শুধু থেকে যাবে ইতিহাসের পাতায়। সরকারি বা বেসরকারি ভাবে কোন উদ্যোগ গৃহিত হয়নি সংস্কারের। অথচ দিঘিটি ঘিওে গড়ে উঠতে পাওে দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্র। যা থেকে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কালকিনি উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের খাতিয়াল আমড়াতলা গ্রামের মধ্যবর্তি স্থানে সেনাপতি দিঘির অবস্থান। প্রায় ১৫ এশর জমির উপর খনন করা কিন্তু দিঘির খনন নিয়েও রয়েছে অনেক মতান্তর।
জনশ্রুতি আছে, মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে সুবেদার শায়েস্তা খার নেতৃত্বে মগ জলদস্যুদেও বিতারিত করার জন্য তার বড় ছেলে বুজুর্গ উমেদ খা ২৮৮ টি নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন। বর্তমান বাংলাদেশের চট্রগ্রাম থেকে মগ জলদস্যুদেও বিতারিত কওে তার সেনাবাহিনীর এশটি অংশ বাকেরগঙ্জ বর্তমান বরিশাল অ লে অভিযান চালায়। সে খান থেকে মগ সৈন্যদেও বিতারিত কওে ঠাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। ঢাকা যাওয়ার পথে কালকিনি উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের মধ্যবর্তি স্থান খাতিয়াল আমড়াতলা গ্রামে কিছু দিন অবস্থান করেন। ওই সময় পানি ও জলের অভাব মেটানোর জন্য বুজুর্গ উমেদ খার বিশ্বস্ত সেনাপতি ইসমাইল খার সেনাবাহিনী এ দিঘিটি খনন কওে বলে এর না হয় সেনাপতি দিঘি।
কিন্তু বর্তমানে সেনাপতির দিঘির পশ্চিম পাড়ে একটি পুরানো লোহার পাইপ দিয়ে মিথেন গ্যাসের সাথে পানি উঠতে শুরু করে। তা দেখে স্থানীয় কিছু লোকজন গুজব ছড়াতে শুরু করে, যে গায়েবী আলামতের পানি,তাই এমনি বের হচ্ছে। এ পানি পান করলে মহামারি করোনা সহ সমস্ক রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর এ খবর অত্র এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দূরদুরান্ত থেকে লোকজন বোতলও পাত্রে কওে পানি সংগ্রহ করতে থাকে। এ পানি নেয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন নারী পুরুষও শিশুরা।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক পানি সংগ্রহ করতে আসা কয়েক জনের সাথে কথা বলার পর জানা যায়, বিভিন্ন রোগের নিয়ত করে এ পানি খেয়ে অনেকে নাকি ভাল হয়েছে। তাই আমরাও এসেছি এ পানি নিতে।
চিকিৎসক মৃনাল মজুমদার বলেন, পানি পান করলে রোগ ভাল হয়, এাঁ তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।
এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি ওই পানি পান করলে কোন রোগ ভাল হবে না। সম্পুর্ন ভাওতাবাজি।