ঘূর্ণিঝড় আম্পান বিকেল বা সন্ধ্যার আঘাত হানতে পারে উপকূলে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ২০শে মে ২০২০ ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় আম্পান বিকেল বা সন্ধ্যার আঘাত হানতে পারে উপকূলে

মহাপ্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরের চেয়েও বেশি শক্তিশালী হয়ে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’। ইতিমধ্যে এর কেন্দ্রে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ২২১ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে। আজ বুধবার সন্ধ্যার দিকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আঘাত হানতে পারে উপকূলে।

বুধবার ভোর তিনটায় আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্পান উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬১০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বিকাল বা সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের নিকট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ইনিউজ ৭১/ জি.হা