এসআই’র ঘুষ দাবির সত্যতা জানতে চাইলে সাংবাদিককে বলেন, ‘তোমার কি’!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৯শে মে ২০২০ ০৫:৪৩ অপরাহ্ন
এসআই’র ঘুষ দাবির সত্যতা জানতে চাইলে সাংবাদিককে বলেন, ‘তোমার কি’!

ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই)শফিকুল ইসলাম কুয়েতে পুলিশ হেফাজতে থাকা হারুন নামের এক ব্যক্তির ভেরিফিকেশন নামে ৫ হাজার টাকা দাবির অভিযোগ পাওয়া যায়। ওই বিষয়টি হারুনের মা রওশনআরা দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিনিধি ও বোরহানউদ্দিন শাহবাজপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেককে জানান। আব্দুল মালেক ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, তোমার কি!

এ আচরণে আবদুল মালেক হতবাক হয়ে যান। বিষয়টি সহকর্মী সংবাদকর্মীরা জানলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানান। তাঁরা অবিলম্ভে ওই এসআই’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

জানা যায়, সোমবার এসআই শফিকুল উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের ১ নাম্বার ওয়ার্ডের কুয়েত প্রবাসী হারুনের বাড়িতে ভেরিফিশেনের জন্য যান। হারুনের মা রওশনআরা জানান, ওইদিন ওই এসআই তাঁকে ৫ হাজার টাকা সহ কাগজপত্র নিয়ে থানায় যেতে বলেন। তিনি  ধার-দেনা করে দেড় হাজার টাকা সহ থানায় তাঁর কাছে যান। কিন্তু এসআই শফিকুল কাগজপত্র টাকা না রেখে মঙ্গলবার(১৯ এপ্রিল) ৫ হাজার টাকা সহ আসতে বলেন। 

রওশনআরা আরো জানান, ছেলে হারুন  ২ বছর আগে ঋণ নিয়ে কুয়েত গেছে। এজেন্সি কুয়েত নিয়ে তাঁর ছেলের সাথে প্রতারণা করেছে। ওই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। ওর বাবা গত ৬ বছর মারা যাওয়ায় সংসারে উপার্জনশীল ব্যক্তি নেই। তিনি শুনেছেন, হারুন কুয়েতের পুলিশ হেফাজতে আছে। এর বেশী টাকা যোগার করা সম্ভব হয়নি।  

সাংবাদিক আব্দুল মালেক জানান, ওই বিষয়টি বোরহানউদ্দিন থানার এসআই শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, তোমার কি দরকার? কিছুক্ষণ পর বলেন থানায় আসো। ১ ঘন্টা পর আবার ফোন দিয়ে দাম্ভিকতা দেখিয়ে বলেন ফেইসবুকে লিখে আমার কিছু করতে পারবেনা।

এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এমএইচ শিপন বলেন, করোনার মহা সংকটে পুলিশ সম্মুখ সাড়ির যোদ্ধা হিসেবে ইমেজ সৃষ্টি করেছেন। আশা করি পুলিশের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ এ এসআই’র দায়ভার নিবেনা।

প্রবীণ সাংবাদিক; প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক তারেক বলেন, এ ঘটনা অনাকাঙ্খিত। তিনি পুলিশের ভাবমূর্তির স্বার্থে ওই এসআই’র বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালমোহন সার্কেল)মো. রাসেলুর রহমান বলেন, এ ঘটনা দু:খজনক। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। জেলা  পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা  গ্রহণ করা হবে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব