প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২০, ২২:২৬
ভয়াবহ রুপ নিয়েছে করোনা ভাইরাস। মরণঘাতী এ ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে ঘরবন্দি হয়ে আছে মানুষ। প্রশাসনের তরফ থেকে করোনা মোকাবেলায় সচেতনতামুলক প্রচার-প্রচারণা করা হচ্ছে। করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবীরা। গায়ে গতদের খেটে খাওয়া এসব মানুষ এখন নিরুপায় হয়ে হাত গুটিয়ে বাড়িতে বসে আছে। ইতোমধ্যে সরকার দরিদ্র ও শ্রমজীবীদের সুবিধার জন্য দুঃস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডি), খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি (ওএমএস) এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশ (টিসিবি) ন্যায্যমুল্যে বিক্রি শুরু করেছেন। কিছুটা হলেও উপকৃত হচ্ছেন হতদরিদ্র ও নি¤œমধ্যবিত্তরা।
উপজেলার স্মৃতিসৌধ চত্বরের ওএমএস ডিলার আবুল তালেব বলেন, সপ্তাহে তিনদিন চাল দেয়া হবে। ইতোমধ্যে এক হাজার কেজি চালের দাম অগ্রিম দিয়েছেন। বাঁকী টাকা পর্যায়ক্রমে টাকা দিতে চেয়েছেন ওবায়দুল হক সরকার।
ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক সরকার বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষরা কর্মহীন হয়ে ঘরে বসে আছে। কাজ না থাকায় তাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে পড়েছে। অনেকেরই ১০ টাকা দরে খোলা বাজার থেকে চাল কেনা কষ্টসাধ্য। দুর্যোগ মুহুর্তে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। যেখানে কর্মহীন মানুষ ঘরে বসেই দিন কাটাচ্ছে, সেখানে তাদের কাছে এখন ১০ টাকা অনেক বড়। কর্মহীন হতদরিদ্রদের প্রতিজন পাঁচ কেজি করে চাল ডিলারের মাধ্যমে বিনামুল্যে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। যাতে করে আমার এলাকার কোন মানুষকে অনাহারে দিন কাটাতে না হয়।