প্রকাশ: ৯ এপ্রিল ২০২০, ০:৪৫
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বহিস্কৃত)আব্দুল মাজেদ কোনভাবেই আমার আত্মীয় নয় বলে দাবি করেছেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল্যাহ পলাশ বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই দাবি করেন। সম্প্রতি ক্যাপ্টেন মাজেদ গ্রেপ্তার হবার পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পলাশকে ক্যাপ্টেন মাজেদের নাতি হিসেবে উল্লেখ করায় বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পলাশ বিশ্বাস বলেন,আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। আমার বাবা অজিউল্যাহ বিশ্বাস স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ছাত্রলীগ করতেন। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে কৃষকলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়কের দ্বায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জেলা কমিটির সহ-সভাপতি পদে আসীন। আমার বড় ভাই আসাদউল্যাহ মঞ্জু বিশ্বাস উপজেলা ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দ্বায়িত্ব পালন শেষে এখন চাকুরীরত। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবার পূর্বে আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দ্বায়িত্ব পালন করেছি।
দীর্ঘদিন ধরে আমার প্রতিবেশী বাঁধন চৌধুরীর সাথে আমাদের রাজনৈতিক ও পারিবারিক দ্বন্ধ চলছে। ওই গ্রুপ সহ একটি স্বার্থান্বেসী মহল প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে ক্যাপ্টেন (বহিস্কৃত) আব্দুল মাজেদ আমার নানা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। প্রকৃত পক্ষে আমার নানার নাম মমতাজউদ্দিন। তিনি জীবিত আছেন। মাজেদ ক্যাপ্টেনের পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারের কোন আত্মীয়তা কিংবা পরিবারিক সম্পর্ক নেই।
তিনি ওই সময় সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা এর সত্যতা প্রমাণের আহবান জানিয়ে বলেন, যদি নূন্যতম এর সত্যতা মিলে তাহলে ছাত্রলীগ আমাকে বহিস্কার করার আগে আমি নিজে পদত্যাগ করে ছাত্রলীগকে কলঙ্কমূক্ত করবো। ওই সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক হাসান মুন্নাজান, ভোলা পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সভাপতি মাহামুদুল হাসান মুন্না উপস্থিত ছিলেন।