ক্রিসেন্ট গ্রুপের ১১০০ কোটি টাকা ডাকাতি: চেয়ারম্যানের জামিন
মোট ১১শ’ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের পৃথক চার মামলায় ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ কাদেরের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামির জামিনের এ আদেশ দেন।
এ দিন আদালতে হযরত আলীসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী আসামিপক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন। শুনানিতে তারা বলেন, আসামি এমএ কাদের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ১৬ হাজার কর্মচারী তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তিনি কারাগারে থাকলে এ সব প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটবে এবং কর্মচারী বেকার হয়ে যাবে। জামিন পেলে তিনি পলাতক হবেন না। যে কোনো শর্তে আসামির জামিন মঞ্জুররের প্রার্থনা করেন তারা।
অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আসামির জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, রফতানির নামে ব্যাংক থেকে টাকা তোলেন আসামি। কিন্তু তিনি তা না করেই টাকাগুলো আত্মসাৎ করে বিদেশে পালিয়ে যেতে চেয়েছেন। জামিন পেলে আসামি পলাতক হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আসামির জামিনের ঘোর বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন আবেদন মঞ্জুরের ওই আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, মেসার্স ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের নামে রফতানি ঋণ সুবিধা গ্রহণ করে ৬৮ কোট ৩৪ লাখ ৯৫ হাজার ১২০ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করা হয়। একইভাবে লেক্সকো লিমিটেডের নামে ৭৪ কোটি ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৯ টাকা, মেসার্স রূপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার লিমিটেডের নামে ৪৫৪ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪ টাকা ও মেসার্ম ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেডের নামে ৫০০ কোটি ৬৯ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯৯ টাকা আত্মসাৎ এবং পরবর্তীকালে তা স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে পাচার করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান এমএ কাদের।
অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এ অভিযোগে গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়। প্রতিটি মামলায় এমএ কাদেরসহ ১৬ থেকে ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ চার মামলায় গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি এমএ কাদেরের মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর কয়েক দফায় আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করা হলেও শুনানি শেষে আদালত তা নাকচ করেন। মামলাগুলো তদন্ত করছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।