বেআক্কেলের মতো একটা কাম কইরা ফেলছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
রিফাত হোসাইন সবুজ, জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৬শে ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:৩৭ অপরাহ্ন
 বেআক্কেলের মতো একটা কাম কইরা ফেলছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ,ক,ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, রাজাকারদের তালিকা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে প্রতিটি গ্রাম থেকে এলাকা থেকে উপজেলা ভিত্তিক করব। স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয়ের তালিকা আর প্রকাশ করব না। রাজাকারদের তালিকা যাচাই না কইরাই দ্রুত প্রকাশ করতে গিয়ে বেআক্কেলের মতো কাম কইরা ফেলছি। এই তালিকা প্রকাশের জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমার নাম যদি রাজাকারের তালিকায় আসত আমিও কষ্ট পেতাম। সহকর্মীর নাম আসায় আমিও একই ভাবে কষ্ট পেয়েছি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম রাজাকারের তালিকায় আসবে এটা অসন্মামজনক দুঃখজনক। আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি, ক্ষমা চেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের তৈরী। আমি পরাজয় মানতে রাজী নয়। ভ’ল করেছি সেজন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছি। আমি ওয়াদা করে যাচ্ছি রাজাকারদের তালিকা হবে, হবেই। তিনি বৃহষ্পতিবার দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এলজিইডির তত্বাবধানে ২৪ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলার ১১টি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স্রে ভবনের উদ্ধোধনের ফলক উন্মোচন শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথাগুলো বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট, সঠিক ইতিহাস এবং সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসমূহ  সংরক্ষন করে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে না পারলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে যাবে। আর ইতিহাস মুছে গেলে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি লাভবান হবে। তারা জয়ী হবে। দেশের স্বাধীনতা ভুলুন্ঠিত হবে। তাই মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বর্তমান সরকার সারাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, বড় বড় যুদ্ধের স্থানসমূহ, গণহত্যা এবং বধ্যভুমি সমূহে একই ডিজাইনে স্মৃতিসৌধ নির্মানের পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে।

একই অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ মজুমদার বলেছেন তাড়াতাড়ি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা প্রকাশ করে চুড়ান্ত ভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। এটা চলমান প্রক্রিযায় রাখার প্রয়োজন নেই, বরং চলমান প্রক্রিযায় রাখতে হবে প্রকৃত রাজাকারের তালিকা। তাদের তালিকা প্রকাশ করে জনগনের সামনে ঘৃনিত করতে হবে।

জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে আলহাজ্ব শহীদুজ্জামান সরকার এমপি, ছলিম উদ্দীন তরফদার এমপি, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম, এলজিইডির প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হান্নান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার হারুন অল রশীদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় জেলার সহস্রধিক মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব