টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় লেগেছে। ১ নভেম্বর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফের দমদমিয়া জাহাজঘাট থেকে পর্যটকবোঝাই জাহাজ প্রমোদতরী, কেয়ারী ক্রুজ এন্ড ডাইন, এমভি ফারহান প্রায় ১হাজার ২শতাধিক পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে পর্যটকবাহী জাহাজ শংকার মধ্যদিয়ে দিয়ে সেন্টমার্টিনদ্বীপে পৌছেলে স্থানীয়রা পর্যটকদের স্বাগত জানান।
গেল বর্ষার শুরুতেই এই রুটে দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার কারণে প্রতিবছরের ন্যায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু এরমধ্যেও শেষ করেনি ঝুঁকিপূর্ণ একমাত্র জেটি সংস্কার কাজ। এর ফলে যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বলে দ্বীপ বাসী ও পর্যটকরা জানিয়েছেন। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ জেটি সংস্কারের দাবী উঠলেও যেই জেটি সেই জেটিই রয়ে গেল। তবুও শংকা নিয়েই আনন্দ ভ্রমনে সেন্টমার্টিন ভীড়ছে দেশবিদেশী ভ্রমনপ্রিয়াসীরা। শর্ত সাপেক্ষে এসব জাহাজকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে চলাচলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, যে কোন ঈদ কিংবা সরকারি ছুটির দিনে সেন্টমার্টিন ভ্রমণেচ্ছুক অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটক কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। কিন্তু দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি না পাওয়ায় হাজার হাজার পর্যটক হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেন। অবশেষে শর্তসাপেক্ষে ৩টি জাহাজকে সমুদ্রপথে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এতদিন সেন্টমার্টিনগামী জাহাজসমূহকে চলাচলের অনুমোদন দেয়া হয়নি। কিন্তু আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে এখন সাগর শান্ত থাকায় জাহাজ চলাচলের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। তবে শর্ত হিসাবে ফিটনেস লাইসেন্স থাকা,অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই না করা এবং আবহাওয়া অনকূলে থাকাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এসব শর্ত লঙ্ঘন করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের শাস্তি দেয়া হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ বলেন, পর্যটকদের বরণে দ্বীপে পর্যটক ব্যবসায়ীরা হোটেল ও কটেজগুলো সাজিয়ে রেখেছেন। জাহাজ চলাচলের খবর দ্বীপে পৌঁছানোর পর সব শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরেছে। তবে বর্তমানে জেটির অবস্থা খুবই কাহিল। পর্যটকবাহী জাহাজ ভিড়ার উপযোগী নয়। জেটি এবং পল্টন উভয়টির খুব খারাপ অবস্থা। বিষয়টি নিয়ে টেকনাফ উপজেলা মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় একাধিকবার উত্থাপন করা হলেও জেলা পরিষদ থেকে এখনও জেটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
তিনি আরো জানান, দ্বীপের মানুষ সবসময় পর্যটকবান্ধব। পর্যটন মৌসুমে যাতে দেশী-বিদেশী পর্যটক শিক্ষার্থীরা নিরাপদে দ্বীপে ভ্রমণ করতে পারেন সেজন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সবপ্রস্তুতি নেয়া হয়।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।