চীন থেকে আমদানি করা ৩০ লাখ টাকার চালানে স্ট্যাপল ফাইবার বা তুলার বদলে এসেছে ৯১৬ ব্যাগ ভর্তি ২০ টন বালু। এটি মানি লন্ডারিং, চোরাচালান নাকি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের ভুল বা প্রতারণা খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) নগরের ইপিজেড এলাকার বেসরকারি কিউএনএস ডিপোতে ৪০ ফুট লম্বা কনটেইনার খোলার পর বিষয়টি নিশ্চিত হন কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার মো. নুরউদ্দিন মিলন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আতিক জানান, নগরের কোতোয়ালি থানাধীন ৮২৯ জুবিলি রোডের আনজুমান শপিং কমপ্লেক্সের মেসার্স সৈয়দ ট্রেডার্সের নামে চালানটি চীন থেকে বন্দরে আসে। চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিলো আগ্রাবাদ বাদামতল এলাকার সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান এসজিএস কোম্পানি। গত ১৬ অক্টোবর চালানটির বিল অব এন্ট্রি (সি-1604155) দাখিল করা হয় কাস্টম হাউসে। চালানটির বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে শুল্ক কর পরিশোধ করা হয় ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।
তিনি জানান, চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষার পর ৯১৬ ব্যাগে ২০ টন বালু পাওয়া যায়। এসব বালুর নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাব টেস্টে পাঠানো হচ্ছে। কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনা ঘটে বড় চালানে। ৩০ লাখ টাকার চালানে এ ধরনের আশঙ্কা কম। হতে পারে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের ভুল বা প্রতারণা। আবার যে পণ্য এসেছে সেগুলো যদি সিলিকা বালু হয় তবে তার শুল্ক ২০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে মিথ্যা ঘোষণা বা শুল্কফাঁকির বিষয় সামনে চলে আসবে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।