আতঙ্কে যুবলীগ নেতাকর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৫ই অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৫৯ অপরাহ্ন
আতঙ্কে যুবলীগ নেতাকর্মীরা

চট্টগ্রাম নগরীতে যুবলীগের এক কর্মী র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার পর আতঙ্কে রয়েছেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। আতঙ্কে অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন। যারা গা ঢাকা দিয়েছেন তাদের মধ্যে ২০-২২ জন র‍্যাবের তালিকাভুক্ত বলে জানা গেছে। আত্মগোপনে যাওয়া নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল হক। তিনি বলেন, আত্মগোপনে যাওয়া নেতাকর্মীর সংখ্যা শতাধিক হবে। মাহবুবুল হক আরও বলেন, পাড়া-মহল্লায় ডজনে ডজনে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ পাওয়া যাবে, যারা টেন্ডার ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। এখন সংগঠনকে জঞ্জালমুক্ত করার সময় এসেছে। এটা কাজে লাগাতে হবে।

জানা গেছে, ঢাকায় অবৈধ ক্যাসিনোবাণিজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর অনেক নেতাকে আর এলাকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মহিউদ্দিনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল আলম ওরফে লিমন, নন্দনকানন এলাকার মো. আবু জাফর, সিআরবি এলাকার রিটু দাশ ওরফে বাবলু, জিইসি ভূঁইয়া গলির মশিউর রহমান ওরফে দিদার, নালাপাড়ার জহির উদ্দিন ওরফে বাবর, জামালখান এলাকার আবদুর রউফ এবং চান্দগাঁও এলাকার এছরারুল হককে কয়েক দিন ধরে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।

এছাড়া গত রোববার রাতে র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে যুবলীগ কর্মী খোরশেদ আহমেদ নিহত হলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক আরও ছড়িয়ে পড়ে। ফলে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির সঙ্গে জড়িত নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। র‍্যাব-৭-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুবুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, চট্টগ্রাম নগরে ২০-২২ জনের একটি তালিকা তৈরি হয়েছে। চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আমরা খুঁজছি। তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলররা কোথায় কী করছেন, সব তথ্য আমরা সংগ্রহ করেছি। তাদেরও পর্যায়ক্রমে আমরা আইনের আওতায় আনব।

ইনিউজ ৭১/এম.আর