
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০১৯, ৫:০

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা বিদেশি গণমাধ্যমেও সাড়া ফেলেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভের ঘটনাও উঠে আসে তাদের প্রতিবেদনে।
এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি, আল জাজিরা, নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, ভয়েস অব আমেরিকা, দ্য গার্ডিয়ান, গালফ নিউজ, দ্য হিন্দু, দ্য ন্যাশনাল, এবিসি নিউজসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বুয়েটের এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তির সমালোচনায় আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। এ ঘটনার জন্য ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দায়ী করে একাধিক শিক্ষার্থীর প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা নয় বুয়েট শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের খবরটিও জানায় তারা। নিহত শিক্ষার্থীর এক বন্ধু আল জাজিরাকে বলে, ‘ফেসবুক পোস্টের কারণে উন্মত্ত হয়ে তাকে মেরে ফেলা হলো। ছাত্রলীগের গুন্ডারা তাকে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।’
আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ (৫৭) বলেন, ‘আমার ছেলেটা একেবারেই নিরীহ ছাত্র ছিল। সে তার শক্তিশালী মতামত প্রকাশ করেছিল এবং এ জন্য তাকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হলো।’ এ ছাড়া গঙ্গা চুক্তিসহ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিতর্কিত পানি চুক্তির বিষয়টিও উঠে আসে আলজাজিরার প্রতিবেদনটিতে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ৪ ঘণ্টা ধরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে আবরার ফাহাদকে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বুয়েটের এক শিক্ষার্থীর বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি জানায়, রোববার দিবাগত রাত দুইটার সময়ও জীবিত ছিলেন আবরার। জুনিয়র কয়েকজন শিক্ষার্থী আবরারকে ধরে যখন নিচের সিঁড়িতে নিয়ে যাচ্ছিল তখনো সে বলছিল, ‘আমাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাও।’ কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই আবরারের মৃত্যু ঘটে। বুয়েটে এ ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতার ঘটনা প্রায় ঘটে বলেও জানায় বিবিসি।

ইনিউজ৭১/জিয়া