৯-৩১ অক্টোবর ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৩রা অক্টোবর ২০১৯ ০৮:২৪ অপরাহ্ন
৯-৩১ অক্টোবর ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতিবছরের মতো এবারও ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। তাই এই ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ শিকার, আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়, বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পটুয়াখালীতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় জানায়, প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে জেলা মৎস্যজীবী সমিতি, জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে জেলা ও উপজেলায় সচেতনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, নদী, সাগরের মোহনায় ও হাটবাজারে মাইকিং, ব্যানার, পোস্টারিং, প্রচারপত্র বিতরণ, জেলেদের সঙ্গে মতবিনিময় ও উঠান বৈঠক। মৌসুম শুরুর আগেই মৎস্যজীবীদের ট্রলার ও নৌযান নদী বা সাগর থেকে তীরবর্তী স্থানে নিরাপদ হেফাজতে রাখা, জাল ও মাছ ধরার সরঞ্জাম দূরবর্তী স্থানে সরিয়ে রাখা, নদী ও সাগরের মোহনায় ইলিশ বিচরণক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে দিনে ও রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও অভিযান পরিচালনা করা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ  বলেন, জেলেদের সচেতন করতে তাঁদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করা হচ্ছে। জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৭ হাজার ৫৫২। এর মধ্যে প্রধান ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নিবন্ধিত জেলেদের জন্য ৯১২ দশমিক ৮৪ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এ বছরও মা ইলিশ রক্ষা ও ইলিশের নির্বিঘ্ন প্রজনন সম্ভব হবে।

পটুয়াখালী সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক পীযূষ কান্তি হরি বলেন, প্রজননের সময় ইলিশ উজানে আসে। গভীর পানি ও প্রবল স্রোতে ইলিশ প্রজননে অংশ নেয়। এ সময় জেলেদের জালে ব্যাপক হারে ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা পড়ে। এ বছর অস্বাভাবিক জোয়ারে পানির উচ্চতা বেশি ও নদীতে প্রবল স্রোত আছে। ফলে, এই মৌসুমে প্রজননে অসংখ্য ইলিশ অংশ নিতে পারবে, উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে আশা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় আগে থেকে মা ইলিশ রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব