অনলাইন ক্যাসিনো থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৯ কোটি টাকা আয় করতেন সেলিম প্রধান। ১৭ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা অভিযানে তার গুলশান এবং বনানীর বাসা ও কার্যালয় থেকে ২৯ লাখের বেশি নগদ টাকা, চেক, ২৩ টি দেশের মুদ্রা ও ১৩ ব্যাংকের ৩২ টি চেক উদ্ধার করেছে র্যাব। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে আটক করা হয়। র্যাবের সাইবার মনিটরিং সেলের কাছে তথ্য ছিল, অনলাইনে ক্যাসিনো পরিচালনা করছেন বেশ কয়েকজন। এরপরই নজরদারি বাড়ানো হয় সেলিম প্রধানের উপর। সোমবার সেলিম প্রধান বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে এমন তথ্য পেয়ে তাকে বিমানবন্দর থেকে আটক করে র্যাব।
রাতেই তার গুলশান ও বনানীর দুটি বাড়িতে অভিযান শুরু হয়। এর মধ্যে গুলশানের বাড়িটি আবাসিক ও ব্যবসায়ীক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হতো। প্রায় ১৭ ঘণ্টার অভিযানে গুলশানের বাসা থেকে ৭ লাখ নগদ টাকা, ৮ কোটি টাকার চেক এবং ২৩ টি দেশের ৭৭ লাখ ২৩ হাজার টাকার সমমূল্যের মুদ্রা পাওয়া যায়। জব্দ করা হয় ১২টি পাসপোর্টও। আর বনানীর বাসায় মিলেছে ২১ লাখ টাকা।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লে.কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, মোট ২৯ লাখ ৫ হাজার ৪শ টাকা আমরা বাসা থেকে উদ্ধার করি। এটা বাংলাদেশি ক্যাশ টাকা। ১৩ টি ব্যাংকের ৩২ টি চেক বই আমরা পেয়েছি ও একটি বড় সার্ভারও পেয়েছি। যে সার্ভারে এই অনলাইনের গেমিং সংরক্ষণ করে রাখা হতো। এবং ৪ টি ল্যাপটপ আমরা জব্দ করেছি। বিদেশে টাকা পাঠানোর প্রমাণসহ বন্য প্রাণীর চামড়া ও মাদক পাওয়া গেছে তার বাসায়।
র্যাব জানায়, কোরীয় এক নাগরিকের সহায়তায় ২০১৮ সালে বাংলাদেশে অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসা শুরু করেন সেলিম। যার থেকে প্রতি মাসে ৯ কোটি টাকা আয় হতো। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কয়েকবার লন্ডনে টাকা পাঠিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।