কে কোথায় কত টাকা মেরেছে আমি তা খুঁজে বের করবো: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
কে কোথায় কত টাকা মেরেছে আমি তা খুঁজে বের করবো: প্রধানমন্ত্রী

গত দশ বছরে উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ সব টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার হলে দেশ আরও বেশি এগিয়ে যেতো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্নীতি ও মাদক ব্যবসা করে কেউ অবৈধ সম্পদের মালিক হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন জঙ্গি, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নিউইর্য়কে ম্যারিয়ট মারকুইজ হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন আরও এগিয়ে নিতে সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজের ৭৩তম জন্মদিনে নিউইয়র্কে নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে স্বাগত ও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান দলীয় নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার প্রবাসীরা। এক ঘন্টারও বেশি সময় বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরেন। বলেন, এ উন্নয়ন আরও এগিয়ে যেতো যদি সবাই আন্তরিক হতো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যে পরিমাণ উন্নয়ন প্রকল্প আমরা নিয়েছি তার সব টাকার যদি সঠিক ব্যবহার হতো তাহলে বাংলাদেশের উন্নয়ন আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতো। এখন আমাকে খুঁজে বের করতে হবে কারা কোথায় এ টাকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল দেশে পরিচালিত দুর্নীতিবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ব্যক্তি কিংবা দলীয় পরিচয় যাই হোক না কেনো দুর্নীতি করলে কেউ ছাড় পাবে না।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, অনিয়ম বা দুর্নীতি করে যদি কেউ ধরা পরে, আর সে যদি আমার দলেরও কেউ হয়, তাকেও বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেবো না। বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কঠোর সমালোচনা করে সরকার প্রধান বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া নয়, প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ারই তাদের উদ্দেশ্য ছিল না। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তারা টাকা নিয়ে প্রার্থীতা দেন। একজন লন্ডনে বসে বাণিজ্য করে, আরেকজন বাংলাদেশে। ৩০০ আসনের বিপরীতে তাদের প্রার্থীই ছিলো প্রায় ৯০০ জন। তাহলে তারা নির্বাচনটা করলোই বা কিভাবে? 

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের ভূমিকা, বঙ্গবন্ধুর দেশ পরিচালনা এবং তার বর্তমান রাজনীতি নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সংবর্ধনায় সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।