পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মেয়ের আত্মহত্যার খবর পেয়ে হার্ট এ্যটাক করে মায়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে মায়ের সাথে অভিমান করে রেশমা (১৩) ঘরে রাখা কিটনাশক পান করে। এসময় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেশমা রাত ১১ টার দিকে মারা যায়। এ খবর শুনে তার মা মিনারা বেগম (৪৫) তার নিজ বাড়িতে বসে হার্ট এ্যটাক করে।
এসময় বাড়িতে কোন পুরুষ লোক না থাকায় তাকে দুরে কোথাও চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি বাড়িতে বসেই তাকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করানো হয়। পরে সকালে তাকে চিকিৎসার জন্য পিরোজপুরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল কিন্তু চিকিৎসার কোন সুযোগ না দিয়ে সকাল ৭ টার দিকে মা মিনারা বেগমও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
নিহত রেশমার ভাবি শিল্পী আক্তার সাংবাদিকদের জানান বৃহস্পতিবার বিকালে রেশমার সাথে তার মায়ে কথার কাটা কাটি হয় এক পর্যায় মিনারা বেগম তার মেয়েকে চটি দিয়ে আঘাত করে। বিষয়টি রেশমা সাভাবিক ভাবে মেনে নিতে না পেরে তৎক্ষনাৎ সে আত্মহত্যা করার কথা প্রকাশ করে। তার রেশ ধরে রেশমা সন্ধার দিকে তাদের ঘরে রাখা কিটনাশক পান করে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য পিরোজপুর নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হলে সেই খবর পেয়ে মা মিনারাও হার্ট এ্যটাক করে পরে তিনিও সকাল বেলা মারা যান। নিহত রেশমা আক্তার উত্তর বালিপাড়া গ্রামের জব্বার বেপারীর ছোট মেয়ে সে উত্তর বালিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী।
ইন্দুরকানী থানার এস,আই আব্বাস উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শণ শেষে সাংবাদিকদের জানান মায়ের সাথে অভিমান করে বিশ পানে আত্মহত্যাকরে রেশমা আক্তার ঐ ঘটনার খবর পেয়ে মা মিনারা বেগম হার্ট এ্যটাক করে পরে শুক্রবার সকালে তিনিও মারা যান। এ খবর পেয়ে পিরোজপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আহম্মদ মাইনুল হাসান শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।