অনিয়ম দেখে কাজ বন্ধের নির্দেশ ইউএনও'র

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো: তাসলিম উদ্দিন, উপজেলা প্রতিনিধি সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:১১ অপরাহ্ন
অনিয়ম দেখে কাজ বন্ধের নির্দেশ ইউএনও'র

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে 'সৈয়দা হুছেনা আফজাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে' সরকারি বরাদ্দ দুই কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চারতলা ভবনের নির্মাণ কাজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে নানা অনিয়ম দেখে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন ইউএনও এ এস এম মোসা। এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খান। এরআগে মঙ্গলবার "সরাইলে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণে নকশা না মানার অভিযোগ" শিরোনামে জাতীয় অনলাইন 'ইনিউজ৭১' এ সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।

বুধবার সন্ধ্যায় সেই বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লক্ষী রাণী দে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে 'ইনিউজ৭১' এর প্রতিনিধিকে বলেন, বেলা ১১টার পর বিদ্যালয়ে আসেন ইউএনও স্যার। সঙ্গে মাধ্যমিক কর্মকর্তা স্যারও। তাঁরা বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ ঘুরে দেখেন। ভবনের ভিত্তি (বেজ), স্তম্ভ (কলাম) ও ছাদ ঢালাইয়ের পুরুত্ব, রড, সিমেন্ট, ইটের খোয়া ও বালু ব্যবহারে অনিয়ম দেখতে পান তাঁরা। সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারের অনুপস্থিতিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন মনগড়াভাবে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ইউএনও স্যার ভালো চোখে দেখেননি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মনগড়াভাবে চালিয়ে যাওয়া এই নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি। পরে সংশ্লিষ্ট তদারকি ইঞ্জিনিয়ার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. এনামুল হক ভূইয়ার সঙ্গে ইউএনও স্যার মুঠোফোনে কথা বলেন এবং এ নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য আনা নিম্নমানের ইট বিদ্যালয় মাঠ থেকে সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

এদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা আবদুল আজিজ এই নির্মাণ কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ইট ও বালু সরবরাহ করে আসছেন। তাই নির্মাণকাজে অনিয়ম হলেও তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নানাভাবে সহযোগিতা করছেন। বুধবার সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এস এম মোসা 'ই নিউজ৭১' প্রতিনিধিকে বলেন, অনলাইন পত্রিকায় রিপোর্ট দেখে সরেজমিন গিয়ে সেই নির্মাণ কাজে নানা অনিয়ম চোখে পড়ে। নির্মাণ কাজে ত্রুুটি থাকায় মৌখিকভাবে কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে এসেছি। তদারকির দায়িত্বে থাকা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সেই উপ-সহকারি প্রকৌশলীকে বলেছি ত্রুুটিপূর্ণ কাজের সুরাহা করে নিয়মতান্ত্রিক কাজ করানোর ব্যবস্থা করতে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর