সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে মেহেদি হাসান (২৬) নামে এক বালু ব্যবসায়ী বাদি হয়ে হাসান রাশেদকে প্রধান আসামি করে সোনারগাঁ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের গোহাট্টা গ্রামের মজিবুর মিয়ার ছেলে বালু ব্যবসায়ী মেহেদি হাসানের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদ।
সোমবার দুপুরে গোহাট্টা এলাকায় মহসিন মিয়ার দোকানে মেহেদিকে পেয়ে পুনরায় চাঁদা দাবি করে রাশেদ। তার দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে রাশেদ তার লোকজন নিয়ে মেহেদি হাসানের ওপর হামলা চালায়। এসময় তার চিৎকারে মেহেদির চাচি সুমি আক্তার, ফুফু শিল্পী আক্তার, চাচা মহসিন মিয়া ও চাচাতো ভাই তাবারক হোসেন ছুটে আসলে তাদেরও এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় মেহেদির হাত থেকে একটি ব্রেসলেট ও তার ফুফুর গলা থেকে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় রাশেদ ও তার লোকজন।
এ ঘটনায় মেহেদি হাসান বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে সোনারগাঁ থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন, সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দমদমা গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে হাসান রাশেদ (৩৪), উদ্ধবগঞ্জ এলাকার হাবিবুল হকের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান কাজল (৪০), মাঝিপাড়া গ্রামের রহিমা মেম্বারের ছেলে সজিব (২৮), বড় সাদিপুর গ্রামের মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে জামাল (৩৫), দলদার গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সুজন (৩৩), মাতু মিয়ার ছেলে সানি (২৩)।
তাছাড়াও আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, চাঁদার দাবিতে হাসান রাশেদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।