
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:৫৩

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের একজন সাধারণ আওয়ামী লীগকর্মী নাম শাহ আলম। ষাটোর্ধ্ব শাহ্ আলম কখনো সরাসরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখেননি, গণভবনেও প্রবেশের সুযোগ পাননি। তার ইচ্ছা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে কাছ থেকে একবার দেখার। নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আলম সেলিম তার সে ইচ্ছা পূরণ করেন। অনেক মানুষের ভীড়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে তার আগমনের কারণ ব্যক্ত করলে প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়ে শাহ আলমের কথা শোনেন।
এ সময় শাহ্ আলম তার স্ব-রচিত একটি কবিতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে শোনাতে চাইলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়ে মনোযোগ তার কবিতা শোনেন এবং ক্যামেরায় ছবি তুলতে নির্দেশ দেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গণভবনে শাহ্ আলমের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সদ্য তোলা দুটি ছবি বড় সাইজে প্রিন্ট করে তার হাতে তুলে দেয়ার ব্যাবস্থা করেন। ছবি দুটি হাতে পেয়ে শাহ আলম নিজের চোখকেও যেনো বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। আবেগে চোখের পানি চেপে রাখছিলেন বারবার। বৃহস্পতিবার গণভবনে শাহ আলমকে সময় দেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে ঢাকা সফররত যুক্তরাজ্যের সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটির (এপিপিজি) সভাপতি অ্যান মেইনের নেতৃত্বে ইউকে কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ (সিএফওবি) এবং জনসংখ্যা, উন্নয়ন ও প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক যুক্তরাজ্য এপিপিজি প্রতিনিধিদল যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন। সারাদিন কর্মব্যস্ততার মাঝেও শাহ আলমের মতো একজন সাধারণ কর্মীর সুখ-দুঃখের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা এ ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হয়। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অনেকে এতে অনুপ্রাণিত হন।

ইনিউজ ৭১/এম.আর