আজসোমবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় সরাইলের আলোচিত "ইকরাম হত্যাকাণ্ড" নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করলেন সরাইল থানার ওসি শাহাদাত হোসেন টিটু। এসময় স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিং এ ওসি শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ইকরামকে তিনজন খুন করে। ভাগিনা সাদী ইকরামের পা চেপে ধরে। সোহাগ দুই হাত চেপে ধরে রাখে, তখন শিমুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ইকরামের মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে তারা লাশটি বস্তাবন্দি করে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ভোর হয়ে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। সোমবার (১২ আগস্ট) এই হত্যাকান্ডের ব্যাপারে পুলিশের হাতে গ্রেফতার নিহত ইকরামের ভাগিনা সাদী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
তিনি আরো বলেন, পুলিশের হাতে গ্রেফতার নাজমা বেগম ও তার ভাই সাবেক ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন এ খুনের পরিকল্পনায় ছিলেন। তাদেরকে এ হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। তারা বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে। এ মামলার চিহ্নিত দুই আসামি শিমুল ও সোহাগ পলাতক আছে। তাদেরকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ মামলায় আরো ৫/৬ জন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে।
উল্লেখ্য, রোববার (১১ আগস্ট) সকালে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বারজীবীপাড়া থেকে কলেজছাত্র ইকরামের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সে ওই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে ও সরাইল সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। ইকরামের পাশের বাড়ির পাশেই খালার বাড়িতেই থাকতো ইকরাম। রোববার সকালে খালাত বোন লাভলী বেগম বাড়িতে ফিরে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। পরে ঘরের ভেতরে তল্লাশি করে খাটের নিচে একটি বস্তা দেখতে পান। সেই বস্তার মুখ খুলে দেখেন ভেতরে তার মামাতো ভাই ইকরামের মরদেহ।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।