
প্রকাশ: ৪ আগস্ট ২০১৯, ৩:৪

ঠিকাদারের চুরি খবর ফাঁস করায় গলাকেটে হত্যা করা হয় পিকআপ চালক উজ্জলকে। হত্যার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খুনের রহস্য উন্মোচন করলো বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। যার মরদেহ গত ২ আগস্ট (শুক্রবার) বরিশাল নগরীর ২৯ নং ওয়ার্ডের কাশিপুরে নির্মাণাধীন ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকার কাঁশবনের ভেতরে বালুচাপা অবস্থায় উদ্ধার করে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের পরপরই অভিযানে নেমে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উজ্জল হত্যাকান্ডে জড়িত প্রধান অভিযুক্তসহ তিন জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন তারা। গ্রেফতারকৃতরা হলো: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ফুলঝুড়ি এলাকার জালাল হাওলাদারের ছেলে সোহাগ, মিনি ট্রাকের হেলপার রমজান এবং নির্মাণ শ্রমিক মাদারীপুরের কালকিনি এলাকার ইদ্রিস ফকিরের ছেলে রবিউল। ঘাতকদের আটক করে আজ বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান বিএমপির কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম)।
এরমধ্যে ভাড়া বাবদ ১৫০০ টাকা উজ্জলের কাছে ঋণী হয় সোহাগ। যদিও তার মধ্যে ১২০০ টাকা পরিশোধ করে। বাকি ৩০০ টাকা পাওনা থাকায় বিভিন্ন সময় চাইলেও ফেরত দেয় না সোহাগ। কয়েকমাস এই টাকা নিয়ে ঘুরালে ক্ষিপ্ত হয়ে কন্ট্রাকটর স্বপনের কাছে চুরির বিষয়টি ফাঁস করে দেন উজ্জল। এমন তথ্য জানতে পেরে কন্ট্রাকটর স্বপন সাব কন্ট্রাকটর সোহাগের ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ফেরত না দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন। এতে পিকআপ চালক উজ্জলের ওপর ক্ষুব্ধ হন মূল ঘাতক সোহাগ।
এসময়ে পিছন দিক থেকে এসে ছোরা দিয়ে গলায় পোচ দেয় সোহাগ। এতে উজ্জল মাটিতে লুটিয়ে পরে। তখন রমজান ও রবিউল গলাকাটা উজ্জলের মাথা ও পা চেপে ধরে। ওদিকে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ছোরা দিয়ে গলা কাটতে থাকে সোহাগ। মৃত্যু নিশ্চিত হলে সোহাগ আলেকান্দার বাসায় চলে আসে। সেখান থেকে রক্তমাখা জামাকাপড় পাল্টে আবার ফিরে যায় শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ট্রাক টার্মিনালে। সেখানে সোহাগের নির্দেশনা অনুযায়ী বালু খুড়ে গর্ত করে রাখে রমজান ও রবিউল। সোহাগ গিয়ে তিনজনে মিলে তাদের ব্যবহৃত একটি কাঁথা মুড়িয়ে নিহত উজ্জলকে মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব