ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানী ঈদ কে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারীরা। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয় এবং খড়, খৈল, কাচাঘাস, ভূষিসহ দেশীয় খাবার দিয়েই গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি হাতে নিয়েছে খামারিরা। কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে বাড়তি লাভের আশায় অনেক কৃষকই অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর বেশি গরু মহিষ পালন করেছেন। তবে কোরবানীর ঈদ এর আগে ভারত থেকে স্থানীয় বাজারে পশু প্রবেশ করলে ক্ষতির মুখে পড়ার আশংকায় দিন কাটছে ব্যবসায়ীদের প্রাণী সম্পদ বিভাগ বলছে, স্থানীয় চাহিদা পুরণ করার মত গবাদী পশু এবছর প্রস্তুত রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রামে দেশী জাতের ছোট বড় গরু-মহিষের ১৩ হাজার ৫৬০ জন কৃষক ও খামারী সম্পৃক্ত রয়েছে সরাসরি গবাদী পশু পালনের সাথে। এসব খামারে গরু, মহিষ রয়েছে অন্তত ১ লক্ষ ৫ হাজার ৯৬০ টি। যা গতবছরের চেয়ে বেশি। জেলার বিভিন্ন হাট থেকে গত কয়েক মাস আগে বিভিন্ন জাতের বিপুল পরিমান ছোট দেশীয় জাতের গরু, মহিষ, ক্রয় করে লালন পালন শুরু করে খামারীরা। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন স্থানের হাটের পাঠানো যাবে। তাদের আশা এবারের হাটে আশানুরূপ দামও পাওয়া যাবে।কিন্তু দফায় দফায় গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি এবং ভারত থেকে গরু আনার কারণে গত কয়েক বছর ধরে লাভের মুখ দেখতে পারেনি জেলার গরু খামারীরা। তবে ভারত থেকে এখন পর্যন্ত গরু না আসার খবরে খামারী ও পালনকারীরা লাভের আশায় বুক বাধতে শুরু করেছেন। সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় খামারে ঘুরে খামারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর পশু পালনে ব্যয় হয়েছে অনেক বেশি। কিন্তু ভারত থেকে গরু আসলে তাদের ব্যাংক ঋনের টাকা দেয়া দূরের কথা পুঁজিই উঠবে না। তাই তারা ভারতীয় গরু যাতে দেশে না প্রবেশ করে সরকারের কাছে সে দাবি জানিয়েছেন।সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: নুরে আলম জানান, গবাদী পশু মোটা তাজা করনে খামারীদের সকল ধরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: তাপস কান্তী দত্ত জানান,গতবছরের তুলনায় এবছর কোরবানীর পশু সংখ্যা বেশি।তাছাড়াও এবছর জেলায় ১ লক্ষ ৫ হাজার ৯৬০ টি পশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। গরু খামারীদের লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করতে ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশের নিষেধজ্ঞা বহালসহ নির্ভিগ্নে কেনা-কাটা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সংশ্লিষ্টরা গ্রহণ করবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন খামারীরা। এতে করে একদিকে যেমন দেশের খামারীদের সংখ্যা বাড়বে। অন্যদিকে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।