দুদকের নজরদারিতে রূপপুর প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২১শে মে ২০১৯ ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
দুদকের নজরদারিতে রূপপুর প্রকল্প

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কেনাকাটায় দুর্নীতির বিষয়টিতে নজর রাখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। মঙ্গলবার (২১ মে) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণাধীন ভবনের আসবাবপত্র ক্রয়ে ‘অতিরিক্ত ব্যয়’ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, কথা হলো দুর্নীতি হয়েছে বা হয়নি। গণমাধ্যমের যে তথ্য সেখানে আমি দেখেছি। বালিশ, কেটলি এসব বিষয়। দেখেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের কিছু প্রসিডিউর আছে। একটা রিপোর্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তো জাম্প দিতে পারি না। সেটা দেখতে হয়, বুঝতে হয়, চারদিক দেখতে হয়। আমরা এরইমধ্যে কথা বলেছি, জেনেছি যে অলরেডি দু’টি কমিটি কাজ করছে।

সংবাদমাধ্যমের যে খবর সেটিও আমাদের কাছে এসেছে। এসব দেখে আমি একটি অর্ডার করেছি। অর্ডারটি হলো সেই তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। সবাই যদি একই জিনিস নিয়ে কাজ করতে থাকি তাহলে জিনিসটা ভালো দেখায় না। তারা কী রিপোর্ট দেয়, সেই রিপোর্ট দেখে তখন কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের কনক্লুসন কী হয়, কারণ এটা সত্য নাও হতে পারে। সব রিপোর্ট যে সত্য তাও তো না, বলেন দুদক চেয়ারম্যান। অতীতে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে অন্যান্য বিভাগ বা সংস্থার সঙ্গে দুদককেও তদন্ত করতে দেখা যায়। তবে এই দুর্নীতির ক্ষেত্রে কেন অনুসন্ধান করা হবে না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, শোনেন, আমাদের কতগুলো প্রজেক্ট আছে যেগুলো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে হঠাৎ করে আপনি জাম্প করবেন, সেখানে চিন্তা-ভাবনা করতে হয়।

এটা জাতীয় বিষয়, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প বহুদিন ধরে চলছে। কিন্তু এটার বাস্তবায়নের কাজ মাত্র শুরু হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্ব ও গুরুত্বপূর্ণ। সো জাস্ট ওয়েট। টেলিভিশনে দেখলাম একজন মন্ত্রী বলছেন যে, বেতন-ভাতা এগুলো সঠিক নয়। বালিশের ক্ষেত্রে এরকম একটা পরিস্থিতি তো হতেও পারে। ‘উই অ্যার ওয়েটিং ফর দ্য রিপোর্ট’, যেহেতু মিনিস্ট্রি কাজ করছে, তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর, আমরা রিপোর্ট চাইবো, আমরা রিপোর্ট দেখবো, তারপর যদি দেখি ইনগ্রেডিয়েন্স আছে সেখানে ডেফিনিটলি আমরা আইনি পদক্ষেপ নেবো, বলেন দুদক চেয়ারম্যান।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব