খাদ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক বলেছেন, কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনতে দেশে যেসব খাদ্যগুদাম রয়েছে সেখানে ‘ধান সংগ্রহ গুদাম’ নির্মাণ করবে সরকার। কৃষকদের যাতে খাদ্যগুদামে ধান নিয়ে এসে ফেরত যেতে না হয় সেজন্য এসব ধান সংগ্রহ গুদাম নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। শেরপুর সদর খাদ্যগুদামে সরকারিভাবে বোরো ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। খাদ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সারাদেশের খাদ্যগুদামগুলোতে ‘ধান সংগ্রহ গুদাম’ নির্মাণের কথা বলেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
হুইপ আতিউর রহমান বলেন, সরকারিভাবে এক মণ ধানের দাম ১০৪০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাস্তব সত্য হলো ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না কৃষকরা। দেড়-দুই মণ ধানের দামে একজন শ্রমিকের মজুরি দিতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। তিনি বলেন, কৃষকের ধানের লভ্যাংশ যাতে মধ্যস্বত্বভোগী না নিতে পারে সেজন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে কৃষকের তালিকা তৈরি করে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কৃষকরা ধানের আর্দ্রতা (শুকানো) বোঝেন না। তারা মনে করেন ১-২টা রোদ দিয়ে ধান শুকিয়ে বাজারে যেভাবে বিক্রি করছেন সেভাবে খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করবেন। কিন্তু গুদামে সেভাবে ধান সংরক্ষণ করা যায় না। সেজন্য ধান সংগ্রহ গুদাম নির্মাণ করবে সরকার।
ফলে কৃষকদের আর গুদাম থেকে ধান ফেরত নিতে হবে না। হুইপ আতিউর বলেন, শেরপুরের চালের সারাদেশে সুনাম রয়েছে। আমাদের চালের গুণগতমান অনেক ভালো। বিদেশেও আমাদের চাল রফতানি হয়। এবারও আমাদের চালকল মালিকরা খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ করে শেরপুর জেলার সুনাম অক্ষুণ্ন রাখবেন। এতে জেলায় খাদ্য বিভাগের সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
এর আগে ফিতা কেটে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন হুইপ আতিউর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক এটিএম জিয়াউল ইসলাম, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. ফরহাদ খন্দকার ও সদর ইউএনও মো. ফিরোজ আল মামুন প্রমুখ। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. ফরহাদ খন্দকার বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে শেরপুর জেলা থেকে সরকারিভাবে ২৯ হাজার ৩৭৩ মেট্রিক টন বোরো চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত এ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ২৭ হাজার ৯৩০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ১ হাজার ৪৪৩ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া ২ হাজার ৯৭০ মেট্রিক টন বোরো ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি চালের সংগ্রহ মূল্য ৩২ টাকা এবং ধান ২৬ টাকা। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বোরো চাল সংগ্রহ অভিযান চলবে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।