২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে দুর্নীতির বার্ষিক বরাদ্দপত্র বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।বিবৃতিতে চরমোনাই পীর বলেন, ‘বিশাল অঙ্কের বাজেট দিয়ে অর্থমন্ত্রী গৌরববোধ করলেও সাধারণ জনগণ এর কতভাগ সুফল পাবেন, তা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। বাজেট প্রস্তাবনা কথার ফুলঝুরি ও মিথ্যা আশ্বাসে ভরা লোক দেখানো মনতুষ্টির নিষ্ফল প্রয়াস। বিগত সরকারগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারের বাজেটেও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের লুটপাটের সুবিধার দিকে লক্ষ্য রেখে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
রেজাউল করীম বলেন, ‘জনগণের ট্যাক্সের টাকায় দেশি-বিদেশি লুটপাটকারীদের পকেট ভারী করার বাজেট এটি। এবারের বাজেটে পরোক্ষ করের পরিমাণ ও মাত্রা বাড়িয়ে এবং বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাঁধে বিশাল ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাজেটের বিশাল অংশ সরকারদলীয় এমপি ও নেতাকর্মীদের পকেটে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন চরমোনাই পীর।’বাজেটে বরাবরের মতো কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখায় দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করা হবে বলে মন্তব্য করেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।রেজাউল করীম বলেন, ‘এ বছরের বাজেটে জনগণের ওপর করের বোঝা চাপানো হচ্ছে, যা জনগণকে চরমভাবে নিষ্পেষণ করার নামান্তর। জনগণের ওপর করের বোঝা চাপানোর চক্রান্ত চলছে। অন্যদিকে দেশবান্ধব বাজেটের পরিবর্তে দলবান্ধব বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।’এ বাজেটে গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি মন্তব্য করে রেজাউল করীম বলেন, ‘ধনী ও সুবিধাভোগী শ্রেণির কথা চিন্তা করেই এই বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের কোনও উপকার হবে না। প্রস্তাবিত বাজেটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ওপর নতুনভাবে ঋণ ও করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত এই বাজেটের কারণে অর্থনীতি পুরোপুরি ঋণনির্ভর হয়ে পড়বে।’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।