মাদারীপুরে ২ মাদ্রাসার ছাত্রীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: শনিবার ৬ই এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৫৯ অপরাহ্ন
মাদারীপুরে ২ মাদ্রাসার ছাত্রীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ

মাদারীপুরে কালকিনি উপজেলার ডাসার থানার বালিগ্রাম ইউনিয়নের মাদ্রাসার দুই ছাত্রীকে দু"দিন আটকে রেখে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে  গণ ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে, পাশের এলাকার আটিপাড়া গ্রামের সাকিব ও হৃদয় তাদের ৩-৪ জন  বন্ধুরা মিলে এই জগন্নতম কাজ করেছে। বখাটের পরিবার এলাকার প্রভাশালী ও সাকিব সাবেক ইউপি মেম্বারের ছেলে তাই টাকার বিনিময় দামাচাপা দেয়ার চেস্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রসাশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। অভিযুক্ত অসহায় পরিবার জানায় গত বুধবার সকাল থেকে তাদের দুই মেয়ে মাদ্রাসা ৫ম ও ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ। অনেক খোজাখোজি করেও বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙ্গাব্রীজ নামক স্থানে ইতালি প্রবাসী মাহবুব সর্দারের বিলাশ বহুল বাড়ীতে তালাবদ্ধ অবস্থায় দুই মেয়েসহ বালীগ্রাম ইউনিয়ের আটিপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার মজিবর হাওলাদের ছেলে সাকিব ও একই এলাকা হৃদয়, আলামিন, শাওনসহ ৪-৫ জনকে আটক করে এলাকাবাসী।

তবে পুলিশকে বিষটি জানালেও তারা ধেরি করায় একই এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান মতিন মোলাসহ এলাকার প্রভাশালীদের নিয়ে টাকার বিনিময় দামাচাপা দেয়া চেস্টা চালায়। মেয়ে পক্ষ এতে রাজী না হওয়া শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হলে ডাসার থানার পুলিশ এসে দুটি মেয়ের একটি মেয়ে ও তার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিকালে থানায় নিয়ে যায়।  মাদ্রাসার দুটি মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন  দেখিয়ে দুদিন আটকে রেকে গনধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত সকলকে দ্রুত গ্রেফতার  করে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হোক এবং এরকম ঘটনা যাতে পুণরায় না ঘটে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর। দ্ইু জনের দুই মা ও ভাই মেয়ের মা, ভাই এর উপযুক্ত বিচারের দাবী জানিয়েছে। তারা বলেন আমরা গরিব অসহায় নুন আনতে পান্তা ফুরায়, এই মেয়েটিকে তো বিবাহ দিতে হবে,  কে এই অবস্থায় বিয়ে করবে। সরকারের কাছে আমাদের একটায় দাবী একটি সুন্দর বিচার।

ভিকটিম একজন  মাদ্রাসার ছাত্রী বলেন, আমার সাথে সাকিবের প্রেম ও আমার বান্ধবীর সাথে হৃদয় নামে আর একটি ছেলের প্রেম ছিল সেই কারনে আমাদের মাদ্রাসা থেকে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে মাদারীপুরের বিভিন্নস্থান ঘুরিয়ে বিবাহ করার প্রলোভন দেখিয়ে রাতে আটকে রেখে শারিরিক মেলামেশা করছে। আমরা চলে আসতে চাইলেও আমাদের নানা ভয়ভিতি দেখিয়ে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে ওদের বন্ধুরা জোর করে শারিরিক সম্পর্ক করেছে। আমরা অসুস্থ থাকায় কিছু বলার ক্ষমতা ছিল না। এরপর পরের দিন আমাদের দুজনকে একই ঘরে আটকে রেখে একজন বাহিরে যেত কিছুক্ষন পর আর একজন আসত এভাবেই রাত পযন্ত আমরা ঐখানে ছিলাম। পরে এলাকার লোকজন আমাদের উদ্ধার করে। মাদ্রাসায় পড়ুয়া একটি মেয়ে বলেন আমার সাথে সাকিবের প্রেম ছিল সে আমাকে বিয়ে করবে বলে আমার সর্বনাশ করেছে আমি ওকেই বিয়ে করতে চাই।

বতলা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবু আলেম জানান, এরা দুইজন বুধবার সকাল দশটার দিকে বইখাতা রেখে পালিয়েছে এরপর আর এদের খোজ পাওয়া যায়নি। এখনতো বাড়িতে এসে জানতে পারলাম এই ঘটনা। বালীগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মতিন মোল্লা জানান, আমার কাছে আসার পর সঠিক তথ্য চেয়ে সময় বেধে দিয়েছিলাম তারা আর আমার কাছে কোন তথ্য নিয়ে আসেন নাই। আমরা কোন শালিশ করি নাই। অভিযুক্ত সাকিবের বাবার সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সাকিবের মা বলছে আমাদের অনেক শুক্র আছে তারা এগুলো করছে। আমার ছেলে দুদিন রাতে বাড়ী ছিল। তাছাড়া তার বন্ধুরা তাকে ডেকে নিয়েছে। মাদারীপুর পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালাদার বলেন, আমরা একটি মেয়ে ও তার বাবা মামলা করার জন্য নিয়ে আসছি। প্রয়োজনে আরএকজনেও মামলা নেয়া হবে। আমরা চেস্টা করবো মেয়েদুটি যাতে তাদের উপযুক্ত বিচার পায় সেই ব্যবস্থা করবো। তাছাড়া যার শালিশ করছে তাদের বিরুদ্ধও ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব