বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর কথা বলার আর সময় নেই। এখন সময় অ্যাকশনের। সব সংস্থাকে নিয়ে একত্রে কাজ করতে চাই। এই ভবনগুলো কীভাবে পারমিশন পেলো, ১৮ তলার অনুমোদন নিয়ে কীভাবে ২৩ তলা হলো সেগুলো আমরা দেখবো।বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) সকালে এফ আর টাওয়ার পরিদর্শনে এসে এমনটাই বলছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।মেয়র বলেন, এই অনিয়ম মেনে নেওয়া যেতে পারে না। এখন কথা বলার সময় নেই, অ্যাকশন নেওয়ার সময়। অ্যাকশনের উদাহরণ দিতে গিয়ে আতিক বলেন, রাজধানীর ভবন মালিকদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে সিটি করপোরেশনে তাদের ভবনের অনুমোদন, নকশা, ফায়ার সেফটি, বিল্ডিং সেফটির অনুমোদনের কাগজ জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছি। সেগুলো দেখে আমরা মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত নেবো। এছাড়াও আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট ভবনে ভবনে যাবেন। পরিস্থিতি দেখে প্রতিবেদন দেবেন আর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ দুর্ঘটনার দায় এই ভবনের মালিক এবং অফিসগুলোর কর্তাব্যক্তিদের নিতে হবে জানিয়ে আতিক বলেন, আমাদের যেসব ভাই-বোন এসব অফিসে চাকরি করেন তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব অফিস মালিকদের, ভবন মালিকদের। তারা এই দায় এড়াতে পারেন না। আর আপনারা যারা চাকরি করেন, তাদের প্রতি অনুরোধ, অফিসে প্রবেশের আগে আপনারা দেখুন আপনার অফিসের বিল্ডিং সেফটি আছে কিনা, ফায়ার সেফটি আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে অফিসে প্রবেশ করবেন না। এসময় গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, বিভিন্ন সংস্থায় এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী আছেন, অসাধু ব্যবসায়ী- ভবন মালিক আছেন। তাদের সবার যোগসাজশে এই অনিয়ম হয়। তবে এগুলো আর বরদাশত করা হবে না। প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নিরর্দেশনা রয়েছে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। এসব ব্যবস্থা আর তদন্ত এবং তদন্ত প্রতিবেদনে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এসময় রাজউক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।