সরাইলে দখল বাজরা গিলে খেয়েছে ফুটপাত!

নিজস্ব প্রতিবেদক
মো: তাসলিম উদ্দিন, উপজেলা প্রতিনিধি সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশিত: শনিবার ৯ই মার্চ ২০১৯ ০৩:৩৭ অপরাহ্ন
সরাইলে দখল বাজরা গিলে খেয়েছে ফুটপাত!

খালের পরে এখন ফুটপাই গিলে খেয়েছে দখলবাজরা। সরাইলের : ফুটপাত দখল এখন যেন গা-সওয়া হয়ে গেছে সরাইল বাসীর। বলতে গেলে এটা এক অঘোষিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। উপজেলার বেশিরভাগ ফুটপাতই গিলে খেয়েছে দখলবাজরা, পাশাপাশি সম্প্রতি শুরু হয়েছে রাস্তা দখল। রাস্তা দখলের এ সংস্কৃতি প্রথম শুরু হয় বিশ্বরোড় থেকে। আর এখন এ সংস্কৃতি ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে গোটা উপজেলায়। সড়কগুলোতে প্রতিনিয়ত বসছে ভাসমান দোকান। শুধু একটি সড়ক (বিশ্বরোড় টু সরাইল - নাচিরনগর সড়ক কয়েকটি বাজার)  সড়ককে পুরোপুরি দখলমুক্ত বলা যাবে না। সরাইল অবস্থা যায়যায়, বিশ্বরোড় ও হাসপাতাল মোড়ে চরম দুর্গতি! হাসপাতাল মোড় হতে অরুুয়াইল সড়কে গলা পর্যন্ত অবৈধ দখল। বাজার রোডসহ অনেক রোড চলে গেছে পুরোপুরি ব্যবসায়ীদের দখলে। উচালিয়া পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গাড়ি প্রতি নিয়ত তাকার কারনে কমল মতি শিক্ষার্থীরা চলাচলের দুর্গতি। এ দখল থেকে রক্ষা পাইনি সরাইল রাহমাতুলিল অালামিন দাখিল মাদ্রাসা, বিল্ডিং চাড়া পুরা মাঠ প্রায় দখলে চলে গেছে। 

এসব রোডে এখন কোনো যানবাহন চলতে পারে না, দেখলে মনে হবে যেন কোনো অনুমোদিত বাজার। ঢাকা-সিলেট  মহা সড়ক প্রধান সড়কের এ হাওয়া লেগেছে মহল্লার সড়কেও। আর এতে  একাট্টা। প্রতিদিনই দখলদারদের হাতে চলে যাচ্ছে নতুন নতুন সড়ক। মাঝেমাঝে দু’একটি লোক দেখানো অভিযান হলেও কয়েকদিনের মধ্যেই আবার ফিরে আসে আগের অবস্থায়।কালিকচ্ছ বাজার -বড্ডা পাড়া দাখিল মাদ্রাসার সামনে সহ দু -পাশ  সড়ক যেন এর জ্বলন্ত উদাহরণ। সম্প্রতি   কালিকচ্ছ  বাজারের  রাস্তা দখলের খবর পাওয়া যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভয়াবহ চিত্র। ফুটপাত আগেই দখল হয়ে গেছে, মূল রাস্তার দু’দিকে এখন লাইন ধরে বসেছে কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে মনোহর মালামালের দোকান রাস্তার দুপাশে স মিলের সাঁড়ি সাঁড়ি কাঠের গাছ। রিকশা চলাও দায় হয়ে পড়েছে এ সড়কে পাশে সিএনজি নামে ষ্টেশন। 

কালিকচ্ছ ইউনিয়নের সুর্ষকান্দি গ্রামের মোঃ শাহগির মৃধা এ প্রতিবেদকে জানান, সময় অসময় কালিকচ্ছ বাজারের ভিতর দিয়ে  রাস্তার উভয় পাশের ফুটপাত দীর্ঘদিন যাবৎ বেদখল হয়ে থাকার কারণে এবং বাজারের প্রবেশপথে রয়েছে দুটি স মিল।স মিল সমূহের যাবতীয় কাটগাছ অবৈধভাবে রাস্তার পাশে রাখার কারণে প্রায়শই যানযটের সৃষ্টি হয়।এ ব্যাপারে  যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি, জানা গেলো, রাস্তার পাশে বাস মান দোকান থেকে অনেকে বাড়াই  গুনে প্রতিদিন বা মাসিক টাকা নেওয়ার অভিযোগ জানাযায়। দিন ২০০থেকে ৩০০ মাসিক ৪থেকে৫হাজার টাকা দিতে হয়। অনেক দোকানি বলে, সরকারী জাগায় জামানত হিসাবে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে থাকে দখলী প্রভাবশালীরা। সরাইল উপজেলা নির্বাহি অফিসার এএসএম মোসা দখলের কথা স্বীকার করে বলেন,দখলকৃত ফুটপাত উদ্বারে ভ্রাম্যমাণ  অাদালত পরিচালনা করা হবে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর