সদর উপজেলার কালির বাজারের বল্লভপুর উঃ পাড়া আইয়ুব আলীর বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় সিএনজি চালক আক্তার হোসেনের ঘর থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। আগুনে একটি বসতঘর ভস্মীভূত হয় পাশের আরেকটি ঘরের আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় বলে জানা গেছে। ক্ষয়ক্ষতি পরিমান বিস্তারিত জানা যায় নি। হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায় নি। ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছানোর একটু আগেই পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা থাকায় দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় স্থানীয়রা। স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে সফল হওয়ায় বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা স্থানীয়দের ধন্যবাদ জানান।
এদিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারে দেশের অন্যতম ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ৮১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর আহতের সংখ্যা অনেক। এ ঘটনায় সারাদেশের মানুষের মাঝে আগুন শব্দটি একটি আতংকে পরিনত হয়েছে। চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনার মধ্যেই কুমিল্লায়ও ঘটল একাধিক অগ্নিকান্ডের ঘটনা। কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা এলাকার চৌধুরী ম্যানশন নামে একটি বহুতল আসাবিক ভবনের ৪র্থ তলার একটি কক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই কক্ষের বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। শনিবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার খবরে ও ভবন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে আশপাশের ভবনে থাকা লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নগরীর ঝাউতলা এলাকার চৌধুরী ম্যানশন নামে ওই ভবনের ৪র্থ তলার একটি কক্ষে আগুন লাগে। ওই কক্ষটিতে একই ভবনের নিচ তলা ভাড়া নেয়া কুইন্স বিউটি পার্লারের লোকজন থাকতো এবং ওই কক্ষে পার্লারের বিভিন্ন সামগ্রী রাখা হতো। কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এতে কেউ হতাহত হয়নি। আগুনে ওই কক্ষে থাকা আসবাবপত্র ও পার্লারের মালামাল পুড়ে গেলে। এদিকে শুক্রবার রাত ৯ টায় কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা এলাকায় মুন হসপিটাল নামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালের ৯ম তলার প্যাথলজি বিভাগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় হাসপাতালের স্টাফ মাকসুদা বেগম অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। ঘটনার পর হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং এতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। আহত মাকসুদা বেগম চাদঁপুর জেলার কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি মুন হাসপাতালের ল্যাবে কর্মরত ট্যাকনোলজি কর্মী। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাত ৯টার দিকে ওই হাসপাতালের নবম তলার প্যাথলজি বিভাগের একটি কক্ষে অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র থেকে ধোঁয়া উড়ছিল। মুহুর্তেই ওই ল্যাবের দরজা-জানালার পর্দায় আগুন ধরে যায় এবং এতে ওই বিভাগের ল্যাবের কিছু যন্ত্রপাতি বিনষ্ট হয়। এসময় ওই ল্যাবে থাকা স্টাফ মাকছুদা আক্তারের শরীরের ৫০ ভাগ দগ্ধ হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের ৯ম তলা থেকে হুড়োহুড়ি করে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে গিয়ে আরও অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন।
কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলমগীর হোসেন জানান, আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে এ ঘটনায় একজন নার্স গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তিনি আরো জানান, মুন হসপিটালের ভবনের ৯ তলায় ল্যাব হিসেবে যে কক্ষ ব্যবহার হয় বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আমরা পৌঁছার আগেই তারা অগ্নিনির্ভাপন ব্যবস্থার মাধ্যমে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। মুন হসপিটালের সুপারভাইজার কাউসার জানান, প্যাথলজি বিভাগের ইউরিন পরীক্ষাগারে মেশিনের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে সাথে সাথেই আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।