আর কতবার অগ্নী-শিখার বীভৎসতা দেখবে বাঙলী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:৩৫ অপরাহ্ন
আর কতবার অগ্নী-শিখার বীভৎসতা দেখবে বাঙলী

সিকদার শাওনঃ আর কতবার স্বজন হারানোর চিৎকার, আহাজারি শুনবে বাঙালী!!  ছোট্ট শিশুটি যখন বাবার জন্য, যখন মা ছেলের জন্য, স্ত্রী যখন স্বামীর জন্য বিলাপ করে কান্নায় বাতাস ভারী করে, জাতী তখন স্তব্ধ হয়ে শুনে তাদের করুন কান্না। আর নিজে নিজেকে সান্ত্বনা দিতে থাকে। এভাবে আর কতবার অগ্নি বিভিষীকা দেখবো আমরা। কবে আমরা নিস্তার পাবো তাজরীন ফ্যাশন, নিমতলী এবং সম্প্রতি ঘটে যাওয়া চকবাজার অগ্নিকান্ডের মতো মর্মস্পর্শী দূর্ঘটনার হাত থেকে। আমারা প্রতিনিয়ত দেখতে পাই, অগ্নিকান্ডের পরবর্তী সময়ে দূর্ঘটনার কারন চিহ্নিত করার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করাহয়। আমাদের প্রশাসন এই তদন্তের রিপোর্টও হতে পায়। তবে আদৌ কি আমরা পেরেছি এসব দূর্ঘটনার কারনগুলো রোধ করতে??? উত্তরে বলা যায় অনেকাংশেই আমরা ব্যর্থ। প্রশ্ন আসতে পারে এ দায় কার? উত্তরে বলা যায় এ দায়ের অধিকাংশ আমাদের নিজেদের উপর বর্তায়। কেননা আমরা কিছুদিন আগে দেখছি চকবাজারের বিভিন্ন বাসার ভিতরের অবৈধ কেমিক্যাল কারখানা সরিয়ে নেয়ার জন্য ব্যাবসায়ীদের জোড় অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু কারখানার মালিকরা সেই অনুরোধে ভূরুক্ষেপও করেননি।  অতি মুনাফার লোভো বাড়ির মালিকরা বাসা ভাড়া দেয় এবং ব্যবসায়ীরা সেই বাসার মধ্যেই অবৈধ কেমিক্যাল কারখানা গড়ে তোলেন। যার মাশুল আমাদেরই দিতে হয়।

এখন বলতে পারি এসব অবৈধ কারখানা উপর আইনি নজনদারি কি? আইনি নজরদারির কথা বলতে গেলে বলাযায়, মাঝে মধ্যে কেবল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিছু কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন।  তবে বলাযায় এ আইনি পদক্ষেপ মালিকদের জন্য যথেষ্ট নয়। মূলকথা হলো এসব ট্রাজেডি থেকে রক্ষা পেতে হলে, আমাদের নিজেদেরই আগে সচেতন হতে হবে। একথা আমি নিশ্চিত বলতে পারি, আমারা নিজেরা সচেতন না হলে আমাদের বাঙালীদের কেউই কোন অবৈধ কাজে বাঁধা দিয়ে আটকে রাখতে পারবেনা। কেননা, আমরা বাঙালীরা একটা কাজ খুবই ভালো পারি। সেটা হলো, আইনের ছোট ছোট ফাঁক ফোকড় দিয়ে বড়ো বড়ো দুর্নীতি করা। এজন্য আমাদের নিজেদের সৎ এবং সচেতন হতে হবে। তবেই আমরা মুক্তিপেতে পারি। আমরা আর শুনতে চাইনা মায়েদের কান্না, আমরা আর দেখতে চাইনা বাবার জন্য ছোট্ট শিশুটির চোখের পানি। আমরা মুক্তি চাই জাতিকে কাদাঁনো এসব দূর্ঘটনা থেকে। ভালো থাকুক অগ্নিদগ্ধে প্রাণ হারানো সকলে। ভালো থাকুক স্বজন হারানে সেসব পরিবার।

ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব