নতুন প্রজন্মের মাঝে ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ ও মাতৃভাষার তাৎপর্য ছড়িয়ে দিতে পিরোজপুরে অব্যবহৃত শহীদ মিনার ধোয়া-মোছা সহ সংস্কারের উদ্যোগ উদ্যোগ নিয়ে মাঠে কাজ করছে পিরোজপুর ইয়ূথ সোসাইটি সংগঠন। শহরের একদল তরুনদের প্রতিষ্ঠিত পিরোজপুর ইয়ূথ সোসাইটি নামে সংগঠনটি ভাষার মাসে শহরের অবহেলা অযতেœ পড়ে থাকা শহীদ মিনারগুলো ধোয়া মোছা সহ স্ব-উদ্যোগে তার সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পিরোজপুর শহরে অনেকগুলো শহীদ মিনার থাকলেও নির্ধারিত কয়েকটি শহীদ মিনার ছাড়া ব্যবহার করা হয়না। তাই ভাষা শহীদদের যথার্থ সম্মান জানানোর জন্য অবহেলায় পড়ে থাকা ওইসব শহীদ মিনারে একুশ পালনের জন্য সেগুলো ধোয়া মোছার কাজ করে যাচ্ছে জোড় গতিতে। শহীদ মিনার ধোয়া-মোছার পাশাপাশি বেশ কয়েকদিন থেকে তারা কোনটার নষ্ট হওয়া আংশিক অংশের নির্মানেরও কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনের নিজ অর্থায়নে। এ লক্ষ্যে তারা পিরোজপুরের সর্বপ্রথম নির্মিত শহীদ মিনারটির কাজ শুরু করেছেন। সংগঠনের তরুনরা নিজেদের হাতেই ধোয়ামোছা, রং-করা, প্লাষ্টার সহ যাবতীয় কাজ করেছে।
তরুনদের এ মহতি উদ্দ্যেগের খবর পেয়ে কাজ শুরুর প্রথম দিনই তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে সেখানে ছুটে গিয়েছে শহরের মুক্তিযোদ্ধা , জনপ্রতিনিধি সহ বিশিষ্ট জনেরা। গত কয়েকদিন ধরে শহরের বিভিন্ন স্থানে চোখে পরেছে পিরোজপুর ইয়ূথ সোসাইটি নামের যুব সংগঠনের লাল টি-শার্ট পরিহিত তরুনের কর্মকান্ড। জানাযায়, ১৯৫২ সালে দেশে এ দেশের একদল তরুন তাদের জীবনের বিনিময় জাতীর মুখে তুলে দিয়েছিল বাংলাভাষা। জীবন উৎসর্গকারী সেইসব শহীদের পরিচিতি ভাষাশহীদ নামে।তবে তাদের সেই আত্মত্যাগ ও বাঙ্গালী জাতীর মাতৃভাষার ইতিহাস সম্পর্কে এ সময়ের নতুন প্রজন্মের অনেকেই ধারনা পরিস্কার নয়। আর এ কারনেই নতুন প্রজন্মের মাঝে সেই ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ ও মাতৃভাষার তাৎপর্য ছড়িয়ে দেবার উদ্দ্যেগ নিয়েছে পিরোজপুর এ তরুনরা। পিরোজপুর ইয়ূথ সোসাইটির চিফ কো-অডিনেটর মো: হাসিবুল ইসলাম হাসান জানান, ভাষার এ মাসে ভাষা শহীদের আত্মত্যাগ ও ভাষা দিবসের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে অরক্ষিত ও অব্যবহৃত শহীদ মিনার গুলো সংস্কার করার জন্যই তাদের এই উদ্যোগ।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।