চট্টগ্রাম থেকে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার আলোচনায় ড. হাছান মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ২রা জানুয়ারী ২০১৯ ০৫:০৯ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম থেকে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার আলোচনায় ড. হাছান মাহমুদ

রাঙ্গুনিয়া : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের টানা তৃতীবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এই বিজয়ের পর এবার সর্বত্র আলোচনা চলছে কারা ঠাঁই পাচ্ছেন নতুন মন্ত্রিসভায়। চট্টগ্রামে আওয়ামীলীগের সব প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পর বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী সভায় স্থান পাচ্ছেন বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়। হেভিওয়েট নেতাদের এই তালিকায় রয়েছেন রাঙ্গুনিয়া থেকে হ্যাট্টিক বিজয় পাওয়া আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। মন্ত্রী সভায় স্থান পেতে সম্ভাব্য হেভিওয়েট প্রার্থীদের আলোচনায় তিনি শীর্ষে রয়েছেন বলেও জানা যায়। 

সুত্রে জানা যায়, ড. হাছান মাহমুদ একজন দক্ষ ও চৌকস নেতা হিসেবে ইতোমধ্যে নিজের মেধা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে দেখিয়েছেন সাফল্য। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় তিনি এবার মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন বলে অনেকেরই অভিমত। ধারাবাহিকভাবে তিনবার নির্বাচিত এমপি ড. হাছান মাহমুদকে তার কর্মদক্ষতা, বিচক্ষণতা ও আন্তরিকতার মাপকাটিতে তিনি মন্ত্রী হওয়ার যোগ্য বলেও মনে করছেন অনেকেই। ২০০৮ সালে প্রথমবার বিএনপি জোটের হেভিওয়েট প্রার্থী যুদ্ধারাধের দায়ে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে প্রায় ৩৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে সারা বাংলাদেশে চমক দেখিয়েছিলেন তিনি। এরাআগে তিনি তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ছিলেন। ১-১১ সময়ে দলের দুঃসময়ে রেখেছেন বিশেষ ভূমিকা।

প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রিপরিষদে স্থান করে নিয়ে চমক সৃষ্টি করেন ড. হাছান। ওই সংসদে তিনি প্রথম ছয় মাস পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং পরে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। সাড়ে চার বছর সফলতার সাথে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সংসদে তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্ধীতায় পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও তিনি মন্ত্রী হিসেবে সুযোগ পাননি। তবে বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। নতুন করে তৃতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে যাচ্ছেন, এমন আলোচনা এখন চট্টগ্রামের সর্বত্র। রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়নে তিনি গত ১০ বছরে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন এবং সারা চট্টগ্রামের বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্প পেতে ও বাস্তবায়নে তার রয়েছে অসামান্য অবধান। তার কর্মী-সমর্থকরা জানান, রাঙ্গুনিয়া সহ সারা চট্টগ্রামের উন্নয়নে ও দলের পক্ষে এক প্রতিবাদী কন্ঠস্বর ড. হাছান মাহমুদ। তাঁর সার্বক্ষণিক চিন্তা-চেতনায় রয়েছে চট্টগ্রাম তথা দেশের উন্নয়ন। তাই রাঙ্গুনিয়া তথা চট্টগ্রামের মানুষের প্রত্যাশা তাঁকে মন্ত্রী করা হলে চট্টগ্রামের চলমান উন্নয়ন আরো গতিশীল হবে।