ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের একটি বাসা থেকে জামাত-শিবিরের ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ওই বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ৪টি ককটেল, বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই ও প্রশিক্ষণের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ওসি মোহাম্মদ শাহজামান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামানন্দ সরকার, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসিকুজ্জামান, পরিদর্শক (অপারেশন) আরাফাত হোসেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোস্তাফিজুর রহমান। ওসি জানান, সোমবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে একদল দুষ্কৃতকারী ইকুরিয়া এলাকার হাসনাবাদ হাউজিংয়ের আবদুল মজিদ মিয়ার ৭ তলা বাড়ির তৃতীয়তলার একটি ফ্ল্যাটে অবস্থান করছে। তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার জন্য সেখানে একত্র হয়েছে। এমন খবর পাওয়ার পর এসআই ইমরান উকিলের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এ সময় অনেকে পালিয়ে গেলেও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তারা হলেন ঢাকার দোহার থানার মোকশেদপুর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. জয়নাল আবেদীন (৫২), একই থানাধীন দক্ষিণ ইছবপুর এলাকার মৃত শেখ ফজলুর রহমানের ছেলে মো. আতিয়ার রহমান (৩০), সাতক্ষীরা সদর থানাধীন ছয়ঘড়িয়া ঢালীবাড়ী এলাকার ইয়াছিন আলী ছেলে মো. তারিকুল ইসলাম (৩০), কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানাধীন নেপারপুচি এলাকার মো. মোবারক আলীর ছেলে মো. আল আমিন (২৫), কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানাধীন ভুচ্ছি এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে আবু তাহের (২২) ও চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানাধীন মহেশপুর এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মো. কামরুজ্জামান শামীম (৫২)। এদের মধ্যে জয়নাল আবেদীন জামায়াতের ওলামা বিভাগের প্রধান ও সামরিক শাখার প্রশিক্ষক। বাকিরা জামায়াত-শিবিরের নেতকর্মী। ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৪টি ককটেল, বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই ও প্রশিক্ষণের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নির্বাচন-পরবর্তী সরকারকে বিব্রত করতে তারা বড় ধরনের কোনো নাশকতার চেষ্টা করছিল। এ জন্য তারা সেখানে সমবেত হয়ে মিটিং করছিল।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।