বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ২০১৯ সালের প্রথম দিনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে সরকারের বিনামূল্যের ৩ লক্ষাধিক নতুন বই তুলে দিয়ে আগৈলঝাড়ায় ‘বই উৎসব’ পালন করা হয়েছে। বই উৎসবে আগৈলঝাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৭হাজার ৯১পিচ ও মাধ্যমিক স্তরে ২লাখ ১৪হাজার ৯শ ৭০পিসসহ মোট ৩লাখ ১২হাজার ৬১পিস নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। বছরের প্রথম দিনে বই উৎসবে নতুন বই পেয়ে কোমলমতি শিশুসহ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা অত্যান্ত খুশি। বই উৎসব উপলক্ষে সকাল ১০টায় উপজেলার সদর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাসের সভাপতিত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস প্রধান অতিথী হিসেবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সরকারের বিনা মূল্যে বই বিতরন উৎসব উদ্বোধন করেন। বই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদারসহ সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাগন, স্থানীয় গন্যমান্য ও অভিভাবকবৃন্দ।
এর পরে প্রধান অতিথি বিপুল চন্দ্র দাস অন্যান্য অতিথিদের নিয়ে সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উপজেলা সদরের শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা বিদ্যালয়, ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমী, রাজিহার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বই উৎসবে সরকারের বিন্যামূল্যের বই বিতরণ করেছেন। শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল হক তালুকদার জানান, ২০১৯ সালে উপজেলার ৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাহিদানুযায়ি শিক্ষার্থীদের মাঝে ৯৭হাজার ৯১পিচ নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। এর আগেই ওই সকল স্কুলে নতুন বই প্রেরণ করা হয়েছিল। বিতরণকৃত বইয়ের মধ্যে প্রথম শ্রেনিতে ৩হাজার ৯শ ২১ পিস, দ্বিতীয় শ্রেনিতে ৪হাজার ১শ ৪৩পিস, তৃতীয় শ্রেনিতে ৪হাজার ২শ ৮৫সেট, চতুর্থ শ্রেণিতে ৪হাজার ২শ ৩৮পিচ ও প ম শ্রেনিতে ৩হাজার ৭শ ৫৬পিচ বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
তবে, তৃতীয় থেকে প ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের খ্রিষ্টান ধর্মের কোন বই এখনও হাতে পাননি তারা। যার চাহিদা ১৭৫পিস। শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, শিক্ষার্থীদের নতুন বই প্রদানের সময় স্কুলগুলো খেলাধুলা, স্বরসতী পূজা ও ইদ-ই-মিলাদুন্নবী, খেলাধুলার চাঁদার নামে টাকা আদায়ের চেষ্টা করলে ওই স্কুলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৬টি স্কুল এন্ড কলেজ ও ২৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ মোট ৩৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসকল প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেনিতে ৫৪হাজার ৬০০শ, সপ্তম শ্রেনিতে ৫১হাজার ১শ, অষ্টম শ্রেনিতে ৫১হাজার ৮শ এবং নবম শ্রেনিতে ৫৭শ হাজার ৪শ ৭০পিস বইয়ের চাহিদা ছিল। চাহিদানুযায়ি সকল বই অনেক আগেই স্কুলগুলোতে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার সরকারের বই উৎসবে বিনা মূল্যের বই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। সূত্র মতে, দাখিল বিদ্যালয়গুলোতে ১২শ ৭০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৮হাজার ৩শ ৯ পিস নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।