মহান বিজয় দিবস: বিশ্বমানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল প্রত্যাবর্তন

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী ও প্রাতিষ্ঠানিক করতে হবে। তিনি ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বস্তরে পরমতসহিষ্ণুতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ঐক্যের সংস্কৃতি গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এবারের বিজয় দিবস হোক জাতীয় জীবনে নতুন করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণের প্রকৃত ক্ষমতায়ন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের যে নবযাত্রা সূচিত হয়েছে, তা যে কোনো মূল্যে রক্ষা করার শপথ নেওয়ার দিন হিসেবেই এই দিবসকে দেখার আহ্বান জানান তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের শেকড় প্রোথিত ভাষা আন্দোলনে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে সংগ্রামের সূচনা, তার চূড়ান্ত রূপ নেয় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে। নয় মাসের অসম যুদ্ধে প্রশিক্ষিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেন সব ধর্ম-বর্ণ-ভাষার মানুষ। এই যুদ্ধে শহিদ হন প্রায় ৩০ লাখ মানুষ, নির্যাতনের শিকার হন দুই লাখ মা-বোন, ধ্বংস হয় বিপুল সম্পদ।

২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সশস্ত্র প্রতিরোধ। সেই রাতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। জীবনবাজি রেখে, সীমিত অস্ত্র আর অদম্য সাহস নিয়ে লড়াই করে বাংলার সন্তানরা ছিনিয়ে আনে বিজয়।

আজ সেই গৌরবময় দিনটি জাতি পরম শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছে। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, মুক্তিযোদ্ধা, বিদেশি কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের মানুষ শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।