প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৫৩
স্থানীয় সরকার বিভাগের তিন কর্মকর্তা নতুন পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট (ভিআইপি) পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে চীন সফরে যাচ্ছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মাহবুবা আইরিনের স্বাক্ষরিত সরকারি আদেশে এ ভ্রমণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সরকারি আদেশ অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ফারুক হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রোকৌশলী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এবং উপসহকারী প্রোকৌশলী মোহাম্মদ জাকির হোসেন এই প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। সফরটি আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত বা ছুটি শুরুর তারিখ থেকে সাত দিনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
অধ্যয়নের মূল উদ্দেশ্য হলো পাঁচটি নতুন মোবাইল টয়লেট সরবরাহের পর সেগুলো যথাযথভাবে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা। কর্মকর্তাদের এই ভ্রমণকে তাদের দায়িত্বের অংশ হিসেবে গণ্য করা হবে। পাশাপাশি সফরের সব ধরনের ব্যয় বহন করবে উৎপাদক প্রতিষ্ঠান শ্যাংডং কিউয়ানবাই ইন্টেলিজেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড।
তবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় দীর্ঘদিন ধরে নির্দেশ দিয়ে আসছে যে, কোনো সরকারি কর্মকর্তা ঠিকাদার বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বিদেশ সফর করা এড়ানো উচিত। এ ধরনের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এই ভ্রমণকে অনুমোদন দেওয়ায় নানামুখী সমালোচনা তৈরি হয়েছে।
বিভিন্ন নাগরিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এ সিদ্ধান্তকে বিতর্কিত হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, সরকারি কর্মকর্তাদের এমনভাবে বিদেশ সফরে পাঠানো নীতিগতভাবে সঠিক নয় এবং এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়া উদ্যোগের উদাহরণ হতে পারে।
সরকারি সূত্র জানায়, প্রশিক্ষণ শেষে কর্মকর্তারা দেশে ফেরার পর নতুন ভিআইপি টয়লেটগুলোর কার্যকারিতা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিবেন। এর মাধ্যমে দেশের শহরগুলোর স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
এ ধরনের প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ টয়লেট ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্য সরকারের পরিকল্পনার অংশ। তবে সামাজিক ও নীতিগত সমালোচনা এ সফরের নৈতিক দিক নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।