প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৩০
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) রবিবার অনুষ্ঠিত সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৩৬১ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপার্সন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা, আইন ও বিচার উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা, শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা, পরিবেশ ও পানি সম্পদ উপদেষ্টা সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বৈঠকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রংপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, বাপবিবোর বিদ্যমান শিল্পসমৃদ্ধ এলাকার ৩৩/১১ কেভি আউটডোর উপকেন্দ্রের আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন প্রকল্প, বিএমআর অব কেরু অ্যান্ড কোং (বিডি) লি. ২য় সংশোধিত প্রকল্প এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ স্থাপন প্রকল্প। এছাড়া ৫টি নির্ধারিত মেডিকেল কলেজে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন, ঢাকার আজিমপুর সরকারি কলোনিতে বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত।
এছাড়া ঢাকা এনভায়রনমেন্টাল সাসটেনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প ও বান্দরবান পৌরসভা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সম্প্রসারণ প্রকল্প, চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পও অনুমোদিত হয়েছে।
সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ইতিমধ্যেই অনুমোদিত ৯টি প্রকল্পের অগ্রগতি একনেক সদস্যদের অবহিত করেন। এর মধ্যে হাতিয়া, নিঝুম ও কুতুবদিয়া দ্বীপের শতভাগ নির্ভরযোগ্য বিদ্যুতায়ন, রাজশাহী ও রংপুরে স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন, বরগুনা জেলার পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন এবং তিন পার্বত্য জেলায় দুর্যোগ ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত।
অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে লাঙ্গলবন্দ মহাষ্টমী পুণ্যস্নান উৎসবের অবকাঠামো উন্নয়ন, তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি, সিলেট বিভাগের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, কপোতাক্ষ নদ ও সংলগ্ন এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ এবং বিদ্যালয় বহির্ভূত কিশোর-কিশোরীদের দক্ষতা কেন্দ্রিক সাক্ষরতা প্রকল্প।
সভায় আলোচিত প্রকল্পগুলো সরকারি অর্থায়ন, প্রকল্প ঋণ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। নতুন প্রকল্প ৫টি, সংশোধিত প্রকল্প ২টি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধি প্রকল্প ৩টি রয়েছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ, স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ এবং ক্রীড়া সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নত হবে। একনেকের এই উদ্যোগ দেশের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা ও দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সংবাদটি অনুসারে, প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপার্সন ড. মুহাম্মদ ইউনূস সকল প্রকল্প যথাযথ নিয়ন্ত্রণে বাস্তবায়ন নিশ্চিতের নির্দেশ প্রদান করেছেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে সময়মতো অগ্রগতি রিপোর্ট দাখিলেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।