প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ১২:১২
বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান যুক্তরাষ্ট্র সফরে ওয়াশিংটনে দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফার ল্যান্ডাউয়ের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। বুধবার এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, যেখানে উভয় পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা সংকট, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা, বাংলাদেশে চলমান গণতান্ত্রিক রূপান্তরের গতিপ্রকৃতি এবং বাণিজ্যিক শুল্ক ইস্যু বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে অগ্রাধিকার পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফার ল্যান্ডাউ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও উন্নয়নের পথচলায় সব সময় পাশে থাকবে। তিনি এই বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদারের আগ্রহও প্রকাশ করেন।
এদিকে, ড. খলিলুর রহমান একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চের সঙ্গেও পৃথক বৈঠকে মিলিত হন। ওই বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার শুল্ক সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির খসড়া নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়।
সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা দেখতে চায় এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যসুবিধা বৃদ্ধিতে আগ্রহী। আলোচনায় উত্থাপিত শুল্ক চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আরও সহজে প্রবেশ করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দুই দেশের এই বৈঠককে আন্তর্জাতিক মহল দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন ভারসাম্য আনার একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। কারণ রোহিঙ্গা সমস্যা ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কৌশলগত দিক থেকে আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই বৈঠকের মাধ্যমে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেতে যাচ্ছে এবং এতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও বাড়বে।