কাশ্মীরের পেহেলগামে ঘটে যাওয়া নির্মম সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার বিকেলে এই হামলার ঘটনায় ভারতসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বার্তায় এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, এ ধরনের জঘন্য হামলা বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান পুনরায় নিশ্চিত করা হচ্ছে।
হামলার ঘটনার পরদিন অর্থাৎ বুধবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং আহতদের প্রতি আন্তরিক সহানুভূতি প্রকাশ করছে বাংলাদেশ। এতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক প্রতিরোধে নিরন্তর ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জানা গেছে, হামলাটি হয় জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগাম অঞ্চলে, যেখানে জঙ্গলের আড়াল থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বেরিয়ে পর্যটকদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি ছোড়ে। ঠিক কতজন প্রাণ হারিয়েছেন সে বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সূত্র বলছে, নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২৬ জন, স্থানীয় কয়েকটি সূত্র বলছে, তা বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়াতে পারে।
এই ঘটনায় ভারতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর সৌদি সফর সংক্ষিপ্ত করে জরুরি ভিত্তিতে দেশে ফিরেছেন। পুরো দেশ শোকাহত এবং এই বর্বর ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠেছে। বিশ্বের বহু নেতাই মোদিকে সমর্থন জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন।
সন্ত্রাসবাদের এই নির্মমতায় কেবল কাশ্মীর নয়, গোটা মানবজাতি ব্যথিত। বাংলাদেশ বরাবরের মতোই শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে এবং এ ধরনের ঘটনা রুখতে আন্তর্জাতিক সংহতি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।