প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৩০
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির নতুন উপজেলা কমিটি গঠন উপলক্ষে আজ দুপুরে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় উপস্থিত সকল শিক্ষক সর্বসম্মতিক্রমে কুঞ্জবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ একরামুল কবীরকে সভাপতি ও মাধবপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা বেগমকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন।
কমিটির সহসভাপতি পদে মীরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদরুল ইসলাম এবং বিলাসেরপাড় ছবুরা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হককে মনোনীত করা হয়। এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে উত্তর পাচাউন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেনু বালা দেবীকে মনোনীত করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার মেয়াদ দুই বছর।
খোয়াজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল হাই সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা বক্তব্য দেন। রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল কবীর, উত্তর জিলাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহীন আহমদ, ভুনবীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ছয়ফুল ইসলাম এবং জঙ্গলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সভায় গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
সভায় প্রধান শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের উন্নয়ন, শিক্ষার মান বৃদ্ধি, শিক্ষকের অধিকার ও শিক্ষার্থীর কল্যাণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। নব-নির্বাচিত কমিটি কার্যক্রম পরিচালনার সময় শিক্ষকদের সহযোগিতা ও আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
সভা শেষে নব-নির্বাচিত কমিটির সদস্যদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারী শিক্ষকরা। উপস্থিত ছিলেন উপজেলার অর্ধশতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক।
শ্রীমঙ্গলের এই কমিটি এলাকার প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে, শিক্ষকদের সমন্বয় ও সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিক্ষক সমাজের মধ্যে এই নতুন নেতৃত্বের প্রতি শিক্ষকদের আগ্রহ এবং সমর্থন লক্ষ্য করা গেছে।
নতুন কমিটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম আরও সুসংহত হবে এবং শিক্ষার মান বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন ও বিদ্যালয় প্রশাসনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এই নতুন কমিটি শিক্ষক সমাজে একত্রিত হয়ে শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়ন এবং শিক্ষকের অধিকার ও কল্যাণে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।