করাচি-চট্টগ্রাম নৌ যোগাযোগ পুনরায় চালুর উদ্যোগ

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানায়, বৈঠকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত ও কৌশলগত সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। উভয় দেশ সংযোগকে অগ্রাধিকার দিয়ে করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি নৌযান চলাচল শুরুর বিষয়ে সম্মত হয়। একইসঙ্গে আকাশপথে সরাসরি যোগাযোগ পুনরায় চালুর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে ভ্রমণ ও ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণে অগ্রগতির বিষয়েও উভয় পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি, সাম্প্রতিক সময়ে নিউইয়র্ক, কায়রো, সামোয়া ও জেদ্দায় উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এসব যোগাযোগ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে সহায়ক হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

উভয় দেশ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন চুক্তি দ্রুত চূড়ান্ত করার বিষয়ে একমত হয়েছে। এছাড়া, নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক সংলাপ, বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা ও আন্তঃসংযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পাকিস্তান তাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়, অন্যদিকে বাংলাদেশ মৎস্য ও সামুদ্রিক বিষয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেয়। পাকিস্তানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির প্রস্তাবে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে এবং শিক্ষা খাতে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর আহ্বান জানায়।

বৈঠকে ক্রীড়া, গণমাধ্যম ও সংস্কৃতি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক নিয়েও আলোচনা হয়। উভয় দেশ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)-এর কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করার পক্ষে মত দেয়।

পাকিস্তান বৈঠকে কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেয়। পাশাপাশি গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায় উভয় পক্ষ।

এই বৈঠক দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে থাকা ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ককে নতুনভাবে সক্রিয় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের।