চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবার ১২টি দেশ ও অঞ্চলে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে টেলিভিশনে। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো ইভেন্ট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও দেখা যাবে, যা বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি করবে।
জানা গেছে, এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ১৬টি ফিডে ৯টি ভাষায় সম্প্রচার করা হবে। ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা, হিন্দি, মারাঠি ও তামিলসহ আরও পাঁচটি ভাষায় ধারাভাষ্য শোনা যাবে, যা ভিন্ন ভিন্ন ভাষাভাষী দর্শকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করবে।
স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্ক ও স্পোর্টস এইটিনের মাধ্যমে এসব ভাষায় খেলা সম্প্রচারিত হবে। বাংলাদেশের দর্শকরা খেলা উপভোগ করতে পারবেন টি-স্পোর্টস ও নাগরিক টিভিতে, যা ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য দারুণ সুযোগ এনে দেবে।
এছাড়া, যারা টেলিভিশনের বাইরে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে খেলা দেখতে চান, তারা টফি অ্যাপে ম্যাচ উপভোগ করতে পারবেন। এই উদ্যোগের ফলে যেকোনো স্থান থেকে সহজেই খেলা দেখার সুবিধা পাবেন দর্শকরা।
বিশেষ করে মোবাইল ফোন ও স্মার্ট টিভির ব্যবহারকারীদের জন্য এটি এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। যেকোনো ইন্টারনেট সংযোগযুক্ত ডিভাইস থেকে খেলা দেখা যাবে, যা ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য বড় সুবিধা হবে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সম্প্রচারের এই নতুন ব্যবস্থা ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা আরও বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী দর্শকদের কাছে আরও সহজে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
ডিজিটাল যুগে ক্রিকেট ভক্তদের জন্য এই নতুন পদক্ষেপ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখন আর শুধু টেলিভিশনের ওপর নির্ভর করতে হবে না, বরং অনলাইন স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে খেলা উপভোগ করা যাবে।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রযুক্তির নতুন সংযোজন দর্শকদের অভিজ্ঞতা আরও রোমাঞ্চকর করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে। টিভি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে একসঙ্গে সম্প্রচারের ফলে ক্রিকেটপ্রেমীরা আরও সহজে এবং সুবিধাজনকভাবে খেলা দেখতে পারবেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।