বেজমেন্ট নিয়ে গুঞ্জন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যা পেলে ফায়ার সার্ভিস

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার ৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:১৪ অপরাহ্ন
বেজমেন্ট নিয়ে গুঞ্জন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যা পেলে ফায়ার সার্ভিস

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর এলাকার একটি বাড়ির বেজমেন্টে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সকাল থেকে পানি সেচের কাজ চালিয়ে দুপুরে তা শেষ করেছেন। কয়েকদিন ধরে এই বাড়ির বেজমেন্ট নিয়ে নানা আলোচনা চললেও শেষ পর্যন্ত সেখানে বিশেষ কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। রবিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন, তবে তারা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।  


ঘটনাস্থলে সকাল থেকেই ভিড় করেন বিভিন্ন বয়সী উৎসুক মানুষ। তারা বলছেন, এখানে কিছু পাওয়া গেছে এমন কথা শোনা গেলেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী মাসুম জানান, ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত এই জায়গায় পানির নিচে বেশ কয়েকটি ঘর রয়েছে এবং সেখান থেকে মানুষের ব্যবহৃত কিছু সামগ্রী পাওয়া গেছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।  


একজন তরুণ শ্রমিক বেজমেন্টে নেমে কিছুক্ষণ হাতড়ে দেখেন, তবে কিছু না পেয়ে উঠে আসেন। তিনি জানান, এটি মূলত লিফটের জন্য তৈরি করা জায়গা বলে মনে হচ্ছে। তবে এই নির্মাণাধীন ভবন ও বেজমেন্ট ঘিরে সাধারণ মানুষের কৌতূহল কমেনি। অনেকে এখনো ধারণা করছেন, পানির নিচে আরও কিছু থাকতে পারে।  


গত ৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইন বক্তব্যের পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গুড়িয়ে দেয়। প্রতিবাদকারীরা পাশের নির্মাণাধীন ভবনে প্রবেশ করে এবং সেখানে পানিতে ডুবে থাকা কয়েকটি ফ্লোর দেখতে পান। এতে গুজব ছড়ায় যে, ভবনের নিচে আরও কিছুর অস্তিত্ব রয়েছে।  


বিল্ডিংয়ের বেজমেন্টের প্রথম তলাটি শুকনো থাকলেও দ্বিতীয় তলায় এখনো পানি জমে রয়েছে। অনেকেই পানির নিচে নেমে কিছু খোঁজার চেষ্টা করেছেন, আবার কেউ কেউ বেরিয়ে থাকা রড কেটে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।  


ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পানি সেচের কাজ শেষ করেন। তবে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, এখন পর্যন্ত কিছু পাওয়া যায়নি।  


দুপুর ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মোহাম্মদপুর স্টেশনের তিনটি ইউনিট এক এক করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা ত্যাগ করে। তবে এলাকায় সাধারণ মানুষের কৌতূহল এখনো কমেনি, অনেকেই বেজমেন্টে কী থাকতে পারে তা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।