বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছর ধরে গুম, খুন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ নানা মানবাধিকার লঙ্ঘনের কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, "আওয়ামী লীগ একাধিক গণহত্যার জন্য দায়ী গোষ্ঠী এবং তাদের জন্য বাংলাদেশে হাজারো নিরীহ মানুষের প্রাণ হানির ঘটনা ঘটেছে। জুলাই মাসের গণহত্যায় প্রায় দুই হাজার শহীদের প্রাণ গেছে এবং ত্রিশ হাজারেরও বেশি মানুষ অঙ্গহানির শিকার হয়েছে।"
এছাড়া, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনী ব্যবস্থার অবৈধ নিয়ন্ত্রক বলেও অভিযোগ তোলা হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, "আওয়ামী লীগ বিগত তিনটি নির্বাচনে অবৈধ উপায়ে নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে। বাংলাদেশের জনগণের আস্থা জিততে, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া জন আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে একটি পদক্ষেপ হবে।"
এ বিষয়ে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নির্বাচন কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের বক্তব্যেরও বিরোধিতা করেছে। মজুমদার সম্প্রতি রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাচন সংস্কারের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, "আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য কোনো বাধা থাকবে না।"
বিবৃতিতে মজুমদারের ওই মন্তব্যের পর তার বক্তৃতা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "বদিউল আলম মজুমদারকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।"
এখন দেখা যাবে, নির্বাচন কমিশন এবং আওয়ামী লীগের অবস্থান কীভাবে পাল্টায়, এবং ছাত্র আন্দোলন এ ব্যাপারে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।