শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার ১লা ডিসেম্বর ২০২৪ ০৪:৪৯ অপরাহ্ন
শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ প্রতি বছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছেন

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ১৫ বছরে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে, এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে একটি শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে।আজ রোববার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে অর্থনীতির শ্বেতপত্রটি হস্তান্তর করা হয়। 


এ প্রতিবেদনটি প্রণয়ন করেছে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, সরকার আমলে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির ফলে দেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচারের ঘটনা বেড়েছে। শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, এই অর্থ পাচারের একটি বড় অংশ মুদ্রা পাচার, অবৈধভাবে অর্থ বিদেশে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে ঘটে। কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, "এই পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় বিপদ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে, যা ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।"


শ্বেতপত্রের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্যরা—বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান, সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, এবং অন্যান্য খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদরা।  


উল্লেখযোগ্য যে, গত আগস্ট মাসে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে একটি শ্বেতপত্র প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। শ্বেতপত্রের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠে এসেছে এবং এর মাধ্যমে সরকারকে অর্থনৈতিক দিক থেকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  


এ বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়ার পর, আগামীকাল সোমবার একটি সংবাদ সম্মেলনে শ্বেতপত্রের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। 


শ্বেতপত্রে আরো বলা হয়, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নয়নের চেয়ে প্রতিনিয়ত অবনতি হচ্ছে, বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান ও সরকারি খাতে দুর্নীতির কারণে। অর্থনীতির এই অবস্থা দেশবাসীকে গভীর চিন্তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে, এবং দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন দুশ্চিন্তা তৈরি করেছে।