আগামীকাল সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা। ত্যাগের মহিমায় দিবসটি উদযাপন করবেন দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী। ঈদ ইবাদতের অংশ হিসেবে রাজধানীসহ সব জেলায় বিভিন্ন ঈদগাহে ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে।
সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ের আয়োজক এবং প্রতিনিধিরা জানান, ইতিমধ্যে ঈদ জামাতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কোরবানির পশু জবাইয়ের কারণে ঈদুল ফিতরের চেয়ে ঈদুল আজহার ঈদের জামাত কিছুটা আগে আয়োজন করা হয়। ঈদের দিন সকালে বৃষ্টি বা দুর্যোগজনিত বাধা তৈরি হলে ঈদগাহের নিকটবর্তী মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের বিকল্প ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
ঈদুল আজহার প্রধান জামাত রাজধানীর সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সোমবার সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসসিসির অঞ্চল-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ শফিউল্লাহ জানান, ঈদগাহে ৯০ হাজার থেকে এক লাখ মুসল্লির জন্য নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরমধ্যে পাঁচ থেকে ছয় হাজার নারী মুসল্লির জন্য আলাদাভাবে পর্দা দিয়ে নামাজ আদায়ের বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের জন্য আলাদা প্রবেশ পথেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, বিদেশি কূটনীতিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মুসল্লি নামাজ আদায় করবেন। তবে আবহাওয়াজনিত কারণে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে হবে ঈদের প্রধান জামাত।
জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঈদের নামাজের জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় বৃষ্টি হলে সংসদ এলাকার টানেলে জামাতের বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এদিকে দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ১৯২তম ঈদ জামাতের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে ঈদ জামাত শুরু হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।