গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান আত্মগোপনে চলে যান। দীর্ঘদিন ধরে গণমাধ্যমকর্মীরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। অবশেষে, ছাত্রলীগের এই দুই নেতা সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তোফাজ্জল হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শামীম মোল্লা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল্লাহ আল মাসুদ উল্লেখযোগ্য। ছাত্রলীগ নেতারা এই ঘটনার প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এই ধরনের ঘটনার কোনো স্থান নেই। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, তারা নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, “আমরা চাই এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।”
এই বিবৃতি রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে। গত কয়েক মাস ধরে দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ছাত্রলীগের নেতাদের আত্মগোপন এবং তাদের প্রকাশিত বিবৃতি জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তারা কোথায় ছিলেন এবং কেন গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ থেকে বিরত ছিলেন, এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ছাত্রলীগের নেতাদের এই উদ্যোগ তাদের সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষা করার পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার চেষ্টা। তারা বলছেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের এই অবস্থান দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে কোনো নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, যা দেশব্যাপী উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাদের এই বিবৃতি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার সূচনা করেছে, এবং আগামী দিনে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা দেখা অপেক্ষা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।