ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের তিন মাস পর, বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বঙ্গভবন থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এ বিষয়টি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ঘোষণা করেন।
মাহফুজ আলম তার পোস্টে জানান, বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো হয়েছে, যা সরকারের প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। তিনি বলেন, "এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরাতে পারিনি, তবে এখন তা সরানো হয়েছে। জনগণের চেতনা টিকে থাকা পর্যন্ত এই ছবি কোথাও থাকবে না।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, "শেখ মুজিব ও তার সরকার ৭২-৭৫ এবং পরবর্তী সময়ে যে সকল দুর্নীতি ও অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন, তার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করতে হবে এবং জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।" মাহফুজ আলমের এই মন্তব্য দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে, যেখানে তিনি ‘ফ্যাসিস্টদের বিচার’ ছাড়া ক্ষমা বা পুনর্মিলন কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
এদিকে, এর আগে রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনজন নতুন উপদেষ্টা শপথ নেন, যাদের মধ্যে অন্যতম মাহফুজ আলম। শপথ অনুষ্ঠানে শেখ মুজিবের ছবি এখনও টাঙানো ছিল, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার জন্ম দেয়। ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এ বিষয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে, আজ (১১ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধুর ছবিটি সরিয়ে নেওয়া হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি বর্তমান সরকারের প্রতি জনগণের ক্ষোভ ও সমালোচনার প্রতিফলন। বিশেষ করে, জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা ও তার আদর্শ অনুসরণের প্রশ্নটি এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এছাড়া, শপথ গ্রহণের পর মাহফুজ আলমের স্ট্যাটাসে বর্তমান সরকারের প্রতি কঠোর অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে, যা আগামী দিনে রাজনৈতিক পটভূমিতে নতুন এক দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।