নতুন অধ্যাদেশ: উপদেষ্টা হতে পারবেন না যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার ১১ই নভেম্বর ২০২৪ ০৯:১৫ অপরাহ্ন
নতুন অধ্যাদেশ: উপদেষ্টা হতে পারবেন না যারা

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন একটি অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক। অধ্যাদেশটি এখন গেজেট আকারে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে, তবে এটি কতদিনের মধ্যে জারি হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।


একটি ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অধ্যাদেশটি প্রয়োজনীয় সব দিক মাথায় রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হতে পারে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু স্পষ্ট তথ্য জানানো হয়নি, তবে আইনজীবীরা মনে করছেন, এটি সরকারের আইনি বৈধতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে।


নতুন অধ্যাদেশের খসড়ায় উপদেষ্টা নিয়োগের জন্য কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশের নাগরিক না হলে এবং বয়স ২৫ বছর পূর্ণ না হলে কেউ উপদেষ্টা হতে পারবেন না। তাছাড়া, কোনো ব্যক্তি যদি বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন কিংবা তার প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন, তাহলে তাকে উপদেষ্টা পদে শপথ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না।


এছাড়া, কোনো ব্যক্তি যদি আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ হিসেবে ঘোষণা করা হয় কিংবা দেউলিয়া ঘোষিত হন এবং দায় থেকে মুক্তি না পান, তবে তারও উপদেষ্টা হওয়ার সুযোগ থাকবে না। নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্তত দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে এবং মুক্তির পর পাঁচ বছর না পার হলে, তাকে উপদেষ্টা পদে বসতে দেওয়া হবে না।


বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, 'বাংলাদেশ কোলাবোরেটরস (স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল) অর্ডার, ১৯৭২'-এর অধীনে কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত ব্যক্তি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পাবেন না। অর্থাৎ, রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি এই পদে আসতে পারবেন না।


এছাড়া, প্রস্তাবিত অধ্যাদেশের মধ্যে আরো একটি শর্ত রয়েছে, তা হলো, উপদেষ্টা পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থী হতে হবে না। এই শর্তটি নিশ্চিত করতে হবে যে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত না হওয়ার জন্য তারা সম্মতি দিয়েছেন।


এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হবে, যা আগামী নির্বাচনী প্রক্রিয়া পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। সূত্র : বিবিসি বাংলা