পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যাতাযাতের নতুন দ্বার উন্মোচন হয়েছে। এ কারণে ওই অঞ্চলের যাত্রী ও যান পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুট এখন আর তেমন ব্যবহার করছে না। গত কয়েক দিনেই এ রুটে অর্ধেকে নেমে এসেছে যানবাহন পারাপারের সংখ্যা। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুট চালু হওয়ার পর এবারই ভিন্ন রকমের ঈদ যাত্রা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর পরও আসন্ন ঈদুল আজহার যাত্রা র্নিবিঘ্ন করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুটে প্রস্তুতির কোনো কমতি নেই কর্তৃপক্ষের।
নৌ রুটের বহরে থাকা ফেরি মেরামত, ফেরি বৃদ্ধি এবং জেলা প্রশাসন সকল দপ্তরকে নিয়ে সমন্বয় মিটিংও সেরেছে। ঘাটসংশ্লিষ্টদের দাবি, প্রতিবছরের মতো এবারও এ রুটে ঈদের আগে যানবাহন ও যাত্রীর ভিড় দেখা দেবে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদ যাত্রা র্নিবিঘ্ন করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে বহরে থাকা ফেরিগুলোর ছোটখাটো মেরামতের কাজ চলছে। বহরে থাকা ছোট-বড় ২১টি ফেরি সাথে রো রো ফেরি আমানত শাহ দু-এক দিনের মধ্যে যুক্ত হবে। এবার ঈদের আগে ১১টি রো রো, কে-টাইপের দুটি, ইউটিলিটি ছয়টি এবং ডাম ফেরি তিনটি চলাচল করবে।
এদিকে আজ বুধবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঘাটসংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর প্রধানদের সাথে ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের কয়েক দিন আগেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তার জন্য ঘাটে মোবাইল কোর্ট, পোশাক ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়ন থাকবে।
বিআইডাব্লিউটিসির পাটুরিয়া ঘাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুবেলুজ্জামান বলেন, 'পদ্মা সেতুর কারণে ঈদের আগে এ নৌ রুটে তেমন প্রভাব পড়ার কথা না। তার পরও আমাদের দিক থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। '
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, 'পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে এবার ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নিয়ে সভা করা হয়েছে। ঘাটে যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট থাকবে। যাত্রীর চাপ থাকবে কি না সেটা বিষয় না। আমাদের প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।